বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » গ্যাসচালিত গণপরিবহনে স্টিকার না লাগালেই ব্যবস্থা
গ্যাসচালিত গণপরিবহনে স্টিকার না লাগালেই ব্যবস্থা
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দূরপাল্লা ও মহানগরীতে চলাচলকারী গণপরিবহনের ভাড়া বাড়লেও আগের অবস্থাতেই থাকার কথা ছিল গ্যাসচালিত বাসের ভাড়া। কিন্তু কে শোনে কার কথা। সুযোগ বুঝে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে গ্যাসচালিত গণপরিবহনগুলোও।
বুধবার (১০ নভেম্বর) সকালে অভিযানে নামে বিআরটিএর মোবাইল কোর্ট। সেখানে দেখা যায় গ্যাসচালিত বাসেও বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যাত্রীরা অনেক সময় কোনটা ডিজেল চালিত গাড়ি আর কোনটা গ্যাস চালিত সেটা বুঝে উঠতে না পেরে অতিরিক্ত ভাড়া দিচ্ছেন।
যাত্রীদের এ অভিযোগের সমাধান দিয়েছে বিআরটিএ। তারা চেনার সুবিধার্থে সিএনজিচালিত পরিবহনে স্টিকার লাগানোর নির্দেশনা দিয়েছে। সড়ক পরিবহন মালিকদের দেওয়া নির্দেশনায়ও বলা হয়েছে, স্টিকার না লাগালে বিআরটিএ ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে বিআরটিএর পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সিএনজিচালিত পরিবহনে স্টিকার লাগাতে আমরা মালিকদের চিঠি দিয়ে দিয়েছি। স্টিকার না লাগালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ৮ নভেম্বর বিআরটিএ ১৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২২০টি গাড়ি মনিটরিং করেছে। এর মধ্যে ৫৯টি সিএনজিচালিত পরিবহন ছিল। ডিজেলচালিত ৩৮টি গাড়ি ও ২৯টি সিএনজিচালিত গাড়িকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে জরিমানা করা হয়েছে। ওইদিন মোট এক লাখ ৫৪ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
প্রতিদিনিই সড়কে বিআরটিএর এ মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) সারওয়ার আলম।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ সিএনজিচালিত যানের ভাড়া না বাড়াতে মালিকদের বিশেষ নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: বর্ধিত ভাড়া আদায় চলছে সিএনজি চালিত বাসে!
নির্দেশনায় বলা হয়, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৭ নভেম্বর বিআরটিএ এক বৈঠকে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করেছে। দূরপাল্লার বাসে ১.৮০ টাকা এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে ডিজেলচালিত বাসের জন্য প্রতি কিলোমিটার ২.১৫ টাকা এবং মিনিবাসে প্রতি কিলোমিটার ২.০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সিএনজিচালিত কোনো যানের ভাড়া বাড়ানো হয়নি।
নির্দেশনায় এনায়েত উল্যাহ বলেন, আমরা অভিযোগ পাচ্ছি কোনো কোনো জেলায় সিএনজিচালিত বাসের ভাড়াও বেশি নেওয়া হচ্ছে, যা নিয়ম পরিপন্থী ও দণ্ডনীয় অপরাধ।
প্রতিটি জেলার মালিকদের বিআরটিএর অফিস থেকে ভাড়ার চার্ট সংগ্রহ করে ভাড়া আদায়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চার্ট অনুযায়ী ভাড়া নেওয়া হয় কিনা তা পর্যবেক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
পাশাপাশি কোথাও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে চলাচলকারী বাস মালিকদের উদ্দেশেও আলাদা করে এ নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, গণপরিবহনে পুনর্নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় এবং যাত্রী ভোগান্তি করলে দায়ী পরিবহনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।