শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১
N2N Online TV
সোমবার, ৮ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » তুষারপাতে কাঁপছে ভারতের বীরভূম-পুরুলিয়া
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » তুষারপাতে কাঁপছে ভারতের বীরভূম-পুরুলিয়া
৪০৪ বার পঠিত
সোমবার, ৮ নভেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

তুষারপাতে কাঁপছে ভারতের বীরভূম-পুরুলিয়া

---

হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় ভারতের উত্তরবঙ্গের তরাইয়ে শীত একটু আগেভাগেই হাজির হয়। কিন্তু এ বার শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ছে পুরুলিয়া, বীরভূম!

রবিবার পুরুলিয়ার এবং বীরভূমের শ্রীনিকেতনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ১৪.৫ এবং ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ১৫.৪, ১৬.৪ এবং ১৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওয়া অফিসের খবর, তরাইয়ের জেলাগুলিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ছে পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়ার মতো দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিও।

গত এক দশকের তথ্য মতে, বীরভূমের ক্ষেত্রে নভেম্বরের অন্তত তৃতীয় সপ্তাহের আগে তাপমাত্রা এত নিচে নামতে দেখা যায়নি। বেশির ভাগ সময়েই নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের আগে বীরভূমে এমন পারদ পতন দেখা যায় না। তা হলে এ বার কেন?

ভারতের আবহাওবিদদের মতে, এবার উত্তর ভারতে আগেভাগেই প্রবল তুষারপাত হয়েছে। তার উপর দিয়ে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া বয়ে আসছে। সেই হাওয়াই রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে ঢুকে তরতরিয়ে তাপমাত্রা নামাচ্ছে।

তাপমাত্রার নিরিখে পিছিয়ে নেই কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকাগুলোও। এ দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতার অদূরে ব্যারাকপুরে রাতের তাপমাত্রা নেমেছে ১৭.২ ডিগ্রিতে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের আগে কলকাতায় তাপমাত্রা সে ভাবে নামে না। গত এক দশকের হিসেবে স্পষ্ট, বেশির ভাগ সময়েই সব থেকে কম ১৭-১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে। তবে গত বছর ২৪ নভেম্বর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

২০১২ সালের ৩০ নভেম্বর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ১৪ ডিগ্রিতে। সেটাই এক দশকে নভেম্বরের সর্বনিম্ন। তবে আবহাওয়া অফিসের খবর, ১৮৮৩ সালের ২২ নভেম্বর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেটাই এ যাবৎকালের সব থেকে কম।

প্রসঙ্গত, এ বার উত্তর ভারতের শীতের আগেভাগে হাজিরার সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরের পানির উষ্ণতা কম থাকার (লা নিনা পরিস্থিতি) সম্পর্ক রয়েছে বলে আবহাওয়াবিজ্ঞানী এবং পরিবেশবিদেরা জানিয়েছেন।

বিভিন্ন আবহাওয়া এবং পরিবেশ গবেষণা সংস্থা এ-ও জানিয়েছে, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি, এই পর্বে উত্তর ভারতে এ বছর রেকর্ড সৃষ্টিকারী শীত পড়বে। প্রবল হবে শৈত্যপ্রবাহ। তার জেরে জনজীবন বিপর্যস্তও হতে পারে। বাতাস অতিরিক্ত ঠান্ডা হওয়ায় বাড়তে পারে দূষণের মাত্রাও। কারণ, তাতে বাতাসে ভাসমান বিভিন্ন কণা কার্যত জমাট বেধে থাকবে।



আর্কাইভ