মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » রোহিঙ্গা সংকট: ভাসানচরে মুগ্ধ জাতিসংঘ কর্মকর্তারা
রোহিঙ্গা সংকট: ভাসানচরে মুগ্ধ জাতিসংঘ কর্মকর্তারা
প্রথম দেখাতেই জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের নজর কেড়েছে বহুল আলোচিত ভাসানচর। রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের গড়ে তোলা আবাসন ব্যবস্থার পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেখে মুগ্ধ তারা।
বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যগত অবকাঠামোতে স্বস্তি ফিরেছে তাদের। এখন কিভাবে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা যায় তারই পরিকল্পনা চলছে।
নৌ বাহিনীর জাহাজ থেকে নেমেই ভাসানচরের এ মাথা থেকে ওমাথা চষে বেড়িয়েছেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা থেকে আসা কর্মকর্তারা। রোহিঙ্গাদের আবাসন ব্যবস্থা ক্লাস্টার দিয়ে শুরু হয় তাদের পরিদর্শন কার্যক্রম। ৪ দলে ভাগ হয়ে তারা ভাসানচরের স্কুল হয়ে হাসপাতাল পর্যন্ত দেখেছেন।
ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কমান্ডার আনোয়ারুল কবীর বলেন, জাতিসংঘের যেসব কর্মকর্তারা এখানে এসেছেন তারা স্বাভাবিকভাবেই প্রথমে যেমনটা ভেবেছিলেন তার চেয়ে বরং বেশি দেখেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তার চেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত, খুশি হয়েছেন। তারা বলেছেন, তারা আগে যা দেখেছেন তার চেয়ে বেশি সংস্করণ দেখেছেন, তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে অনেক অপপ্রচার হয়েছে। তাই জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলটি বেড়িবাঁধে গিয়ে দেখেছেন জোয়ারের পানি এখানে প্রবেশ করে কি না। পাশাপাশি বিদেশি এনজিওগুলোর থাকার সুবিধা আছে কিনা।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, খাদ্য, কর্মসংস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যাপারে তারা কোন প্রক্রিয়ায় এখানকার রোহিঙ্গাদের দিতে পারবে তা বের করার চেষ্টা করেছেন।
গত ৩ ডিসেম্বর থেকে ৬ দফায় সাড়ে ১৮ হাজার রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে আনা হয় ভাসানচরে। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো নানা জটিলতায় প্রথমে না আসলেও এখন ভাসানচরমুখী হওয়ায় উচ্ছ্বসিত রোহিঙ্গারা।
গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের সাথে এক চুক্তির মাধ্যমে ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিতে রাজি হয় জাতিসংঘ। এরই অংশ হিসাবে ইউএনএইচসিআর এবং ডব্লিউএফপি’র ২১ জন কর্মকর্তা ৪ দিনের সফরে ভাসানচরে অবস্থান করছেন।