সোমবার, ১ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » বিসিটিআই’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তথ্যমন্ত্রী : বিনোদনের সাথে সমাজের জন্য বার্তা দিন
বিসিটিআই’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তথ্যমন্ত্রী : বিনোদনের সাথে সমাজের জন্য বার্তা দিন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষিতদের নির্মিত চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠান আনন্দের পাশাপাশি সমাজের জন্য বার্তা দেবে, সমাজকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে, এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একইসাথে তাদের নির্মিত চলচ্চিত্র ও অনুষ্ঠান সমাজে খ্যাতি ও অর্থের পেছনে মানুষের নিরন্তর ছুটে চলা থেকে নতুন প্রজন্মকে বেরিয়ে আসতে পথ দেখাতে পারে, বলেন তিনি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের (বিসিটিআই) ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় নবতরঙ্গ শ্লোগানে আজ বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিসিটিআই পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বিসিটিআই’র প্রধান নির্বাহী মো. আবুল কালাম আজাদ, একাডেমিক কাউন্সিল সভাপতি অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভুইয়া, কোর্স পরিচালক ম. হামিদ এবং বিসিটিআই প্রাক্তনী সংসদ সভাপতি মাহবুব হোসেন সভায় বক্তব্য রাখেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান মমতা হেনা লাভলী এমপি, চলচ্চিত্রকার গাজী রাকায়েত, মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চিত্রতারকা ফেরদৌস ও তারিন জাহান অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে জনগণের রায়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবার পর তার হাতেই বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু। এখন ৪৫টি বেসরকারি টিভি, সেখানে ব্যাপক কর্মসংস্থান হয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পেও নতুন জীবনদানের কাজ চলছে। আর এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিসিটিআই প্রতিষ্ঠা করেছেন।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিসিটিআইয়ের প্রশিক্ষণের গুণগত উৎকর্ষের কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষিতদের চলচ্চিত্র জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরস্কৃত হয়েছে, গুণমান বিবেচনায় মন্ত্রণালয়ের অনুদানও পেয়েছে। এজন্য বিসিটিআই সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমার অভিনন্দন।’
যুগোপযোগী চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণে বিসিটিআই এর স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং সেকারণে এখানে মাস্টার্স ডিগ্রি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, জানান সম্প্রচারমন্ত্রী।
সচিব মো. মকবুল হোসেন সভাপতির বক্তৃতায় বিসিটিআইকে সমৃদ্ধতর করার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান।
এসময় প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে নির্বাচিত ৮ জন চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠান নির্মাতাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে ১৩টি কাহিনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।