রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » সুন্দরী নারীদের টার্গেট করে বিয়ে, অতঃপর বিদেশে পাচার
সুন্দরী নারীদের টার্গেট করে বিয়ে, অতঃপর বিদেশে পাচার
দরিদ্র ও সুন্দরী নারীদের টার্গেট করতেন সুজন সিকদার নামে এক মানব পাচারকারী। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তাদের বিয়ে করতেন সুজন। বিয়ের পর তাদের পাচার করতেন বিভিন্ন দেশে।
রবিবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
এর আগে শনিবার রাতে রাজধানীর কড়াইল বস্তি এলাকা থেকে আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা সুজন সিকদারকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার সহযোগী রমজান মোল্লাকেও গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন জানান, মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা প্রথমে দরিদ্র পরিবারের নারীদের টার্গেট করতেন। এরপর চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে বিদেশে পাচার করতেন। বেশিরভাগ সময় পাচারের শিকার নারীদের ডিজে পার্টিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানো হতো। পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা সুজন সিকদার ও রমজান মোল্লাকে গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে একজন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। অপর এক নারীকে বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সুজন। পরবর্তীতে তাকে ঘটনাটি জানিয়ে সতর্ক করা হয়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, নারীদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য মৌখিকভাবে তাদের বিয়ে করতেন চক্রের সদস্যরা। বিয়ের পর ভিকটিমদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি মোবাইলে ধারণ করতেন। পরে বিভিন্ন দেশে লোভনীয় ও আকর্ষণীয় চাকরির কথা বলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পাচার করে দিতেন।
তিনি আরও বলেন, কোনো নারী পার্শ্ববর্তী দেশে যেতে রাজি না হলে তাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিত চক্রটি। আর পাচার করা নারীদের পতিতালয়ে বিক্রি ও জোরপূর্বক ডিজে পার্টিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানো হতো।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা জানান, যশোর সীমান্ত এলাকা দিয়ে নারী পাচার করতেন তারা। নারী পাচারের ক্ষেত্রে যশোর সীমান্ত পারাপারে সহায়তা করতেন পলাতক আসামি হোসেন।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, সুজন সিকদার তিনটি বিয়ে করেছেন, যার মধ্যে একজনকে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচারের উদ্দেশ্যে সুজন এক নারীকে বিয়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এছাড়া গ্রেফতার রমজানের স্ত্রী মারা গেছেন- এমন মিথ্যা বলে অপর এক নারীকে বিয়ে করেন।