রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » সমবায় ভিত্তিক আধুনিক চাষাবাদে এমপিদের উদ্যোগ নেওয়ার আহবান - স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর
সমবায় ভিত্তিক আধুনিক চাষাবাদে এমপিদের উদ্যোগ নেওয়ার আহবান - স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর
জমির আইল উঠিয়ে সমবায় ভিত্তিক আধুনিক চাষাবাদের উদ্যোগ নিতে সকল সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
তিনি আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড-বিআরডিবি আয়োজিত জাতীয় পল্লী উন্নয়ন পদক-২০২১ প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন বাস্তবায়নে আমরা সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদে বগুড়া ও লাকসাম দুই শো একর জায়গা নিয়ে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করি। এই উদ্যোগ প্রথম গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বগুড়া ও লাকসাম প্রকল্প শেষ হওয়ার পরে দেখা গেলো খরচের পরিমান অর্ধেকে নেমেছে। অন্যদিকে লাভের পরিমান বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে মোঃ তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে জমির আইল উঠে দিয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদ করা হলে কৃষি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। তাই সকল সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী এলাকায় এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, কো-অপারেটিভ, উপজেলা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ, নন-কো-অপারেটিভ, সরকারি অথবা বেসরকারি প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে তা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতে আইনে যদি কোনো ধরনের অসামঞ্জস্য থাকে সেগুলোও দূর করতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশ থেকে কো-অপারেটিভ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করে যদি ব্যাপক অর্থনৈতিক-সামাজিক পরিবর্তন আনতে পারে। তাহলে আমরা কেন পারবো না।
দরিদ্র গ্রামীণ জনগণের সক্ষমতাও আয় বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে গৃহীত কার্যক্রমে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং এর অধীন প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ একত্রে কাজ করলে ২০৪১ আগেই বাংলাদেশ সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, একটা দল ক্ষমতায় থাকতে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। ওই টাকার লোভ দেখিয়ে মানুষকে রাস্তায় নামাতে চায়। কিন্তু মানুষ নামে না কারণ তাদের আয় বেড়েছে, আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে। আত্ম সম্মান বেড়েছে। তাই তারা এখন নানা কৌশল অবলম্বন করছে। এসব বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা শহর পরিকল্পনা অনুযায়ী গড়ে না উঠায় এখন অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে।। কিন্তু গ্রামের সৌর্ন্দয্য এখনও ঐভাবে নষ্ট হয়নি। তাই গ্রামগুলোকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে হবে। পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন অবকাঠামোসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্মাণ করতে হবে। তা না হলে উন্নত দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা কঠিন হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, যারা দেশের মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারাই দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে। তারাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উন্নয়ন পরিকল্পনা বিঘ্নিত করে। দেশের উন্নয়ন আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ও প্রশংসনীয় হচ্ছে।
পল্লী উন্নয়ন পদক প্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের পল্লী উন্নয়নে আপনাদের অবদান বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে আশা করি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ বিশ্বে আত্নমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, বিআরডিবি’র মহাপরিচালক সুপ্রিয় কুমার কুন্ডু এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ ও এর আওতাধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১০টি ক্যাটাগরিতে ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পযর্ন্ত পল্লী উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য মোট ৬২ জনকে পল্লী উন্নয়ন পদক প্রদান করা হয়।