মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » সরকার সবার জন্য গণমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছে : প্রধানমন্ত্রী
সরকার সবার জন্য গণমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার সবার জন্য গণমুখী স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রণয়ন করেছে। হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা, সাধারণ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা বিস্তৃত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করে মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক সম্প্রসারণ করা হয়েছে। একই সাথে চিকিৎসা গবেষণার গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বিএসএমএমইউ-এর গবেষণা দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয়বারের মতো ‘গবেষণা দিবস’ উদযাপন করতে যাচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের মৌলিক অবকাঠামো পুনর্গঠনের পাশাপাশি দেশের মানুষের সু-স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা গবেষণাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। জাতির পিতার সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে, যার মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গবেষণার বুনিয়াদ সৃষ্টি করা। তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটি মানসম্পন্ন গবেষণা কর্ম সম্পাদন করবে এবং দেশের রোগাক্রান্ত মানুষের জন্য উন্নততর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেবার পর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ করে এর গবেষণা ও শিক্ষা কর্মকান্ডকে প্রাধিকারমূলক কর্মসূচির আওতায় রেখেছে এবং সে অনুসারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কেননা নিজস্ব গবেষণা ব্যতীত দীর্ঘস্থায়ী ও যুগোপযোগী চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠা করা দুরূহ ব্যাপার।
বাংলাদেশের মানুষের চিকিৎসাসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে জানিয়ে তিনি আশা করেন চিকিৎসা গবেষণাতেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দেবে। ‘এ পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস উদযাপন খুবই সময়োপযোগী পদক্ষেপ, যা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত গবেষক, চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট সব্ইাকে যেমনি অনুপ্রাণিত করবে, তেমনি দেশের অন্যান্য চিকিৎসকবৃন্দকে চিকিৎসাসেবায় উদ্বুদ্ধ করবে। ফলে আমরা দেশে সমন্বিত উন্নয়নের গতিধারার সাথে তাল মিলিয়ে সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জাতি গঠনে সমর্থ হব, বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গবেষণা দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।