সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » মুজিব-রশিদদের ঘূর্ণিতে রেকর্ডগড়া জয় আফগানদের
মুজিব-রশিদদের ঘূর্ণিতে রেকর্ডগড়া জয় আফগানদের
শারজায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুজিব-উর রহমান এবং রশিদ খানদের ঘূর্ণিতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩০ রানের রেকর্ডগড়া জয় পেয়েছে আফগানিস্তান দল। এটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবং নিজেদের ইতিহাসে আফগানদের সর্বোচ্চ রানের জয়। এদিন ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৯০ রান তুলে আফগানিস্তান। জবাবে মাত্র ৬০ রানেই অলআউট হয়েছে স্কট্যলান্ড।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ভালোই ব্যাট চালাচ্ছিলো দুই স্কটিশ ওপেনার জর্জ মুনশি এবং কাইল কোয়েটজার। মাত্র ৩.২ ওভার খেলে ওপেনিং জুটিতে দুজন মিলে তুলেন ২৮ রান। ব্যক্তিগত ১০ রানে আউট হন অধিনায়ক কোয়েটজার।
এরপর পরতে থাকে একের পর এক উইকেট। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো দুই ওপেনারের পরে ব্যাট করতে নামা টানা চারজন ব্যাটসম্যানের কেউই রানের খাত খুলতে পারেননি। সবাই সাজঘরে ফেরেন শূন্যরানেই। এর মাঝে ব্যক্তিগত ২৫ রানে আউট হন ওপেনার জর্জ মুনশি। এটিই স্কটিশদের ইনিংসের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান।
এছাড়া ১২ রানে ক্রিস গ্রেভস, ১ রানে মার্ক ওয়াট, ৪ রানে জশ ডেভয় এবং শূন্যরানে আউট হন ব্র্যাড হোয়েল। আর ৩ রানে অপরাজিত থাকেন সাফওয়ান শরিফ।
আফগানিস্তানের পক্ষে ২০ রানের খরচায় সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট নেন মুজিব-উর-রহমান। আর মাত্র ৯ রানের খরচায় ৪টি উইকেটে পেয়েছেন রশিদ খান। এছাড়া একটি মাত্র উইকেট পেয়েছেন নাভিন উল হক।
ম্যাচের শুরুতে ব্যাট জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই মারমুখী ভঙ্গিতে ব্যাট করতে থাকেন দুই আফগান ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই এবং মোহাম্মদ শেহজাদ। ওপেনিং জুটিতে দুজন মিলে তুলেন ৫৫ রান। ১৫ বলে ২২ রান তুলে ফেরেন শেহজাদ। এদিকে আপনতালে ব্যাট করতে থাকা জাজাই আউট হওয়ার আগে ৩০ বলে খেলেন ৪৪ রানে এক শৈল্পিক ইনিংস।
এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান। মাত্র ৫২টি বল খেলে তুলেন ৮৭ রান। ১৯তম ওভারের খেলায় জস ডেভয়ের ওভারে কোয়েটজারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ৩৭ বল খেলে এক চার এবং চার ছয়ে করেন ৪৬ রান।
রহমানুল্লাহ অর্ধশতক করতে না পারলেও ঠিকই হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। আউট হয়েছেন ইনিংসের একদম শেষ বলে। ৩৪ বলে তার খেলা ৫৯ রানের ইনিংসটি ৫টি চার এবং তিনটি ছয়ে সাজানো। এদিকে মাত্র ৪ বল খেলে দুই চারের মারে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ নবী।