রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করা হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করা হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার মাধ্যমে দেশে সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
আজ রোববার মন্ত্রণালয় থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজিত দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট ও মানুষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির অপতৎপরতা বন্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি/সরকারি কর্মকর্তাগণের পরামর্শ গ্রহণপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, যারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ধর্মের মধ্যে বিভেদ ও উগ্রবাদ তৈরি করে দেশে অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে তাদেরকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারসহ তৃণমূল নেতাকর্মী, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ সকল ধর্মের মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, সমাজের মধ্যে কারা বিভিন্ন অপকর্ম, অপপ্রচার চালায় তাদেরকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এই কমিটি কাজ করবে।
ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার দায়িত্ব স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিতে হবে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট এবং জনগণের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির জন্য একটি মহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক অবস্থানে থেকে এসকল দুর্বৃত্তদের প্রতিহত করতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষের কল্যাণের জন্য ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখা স্থানীয় সরকারে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। হিন্দু-মুসলিমকে মুখোমুখি করে কেউ যাতে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে।
তিনি বলেন, মসজিদ-মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাশানালয়গুলোতে নজর রাখতে হবে যাতে কেউ সুযোগ না নিতে পারে। তিনি এ ব্যাপারে সকল জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকার আহবান জানান ।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনসহ সকল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা প্রশাসক, ডিডিএলজি, জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।