বাংলাদেশের টার্গেট ১৪১ রান
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ের জন্য ১৪১ রানের টার্গেট পেল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪০ রান করে স্কটল্যান্ড।
ওমানের আল আমেরাতে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। প্রথম ওভারে বল হাতে ৪ রান দেন বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ। পরের ওভারে লেগ-বাই থেকে ১ রান ছাড়া মেডেন ওভার পান বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান।
প্রথম দুই ওভারে রান না আসায় চাপে পড়ে স্কটল্যান্ড। তৃতীয় ওভারে সেই চাপ আরও বাড়ান পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে রানের খাতা খোলার আগেই কাইল কোয়েৎজারকে বোল্ড করেন সাইফুদ্দিন।
এরপরই চাপের মুখ থেকে দলকে রক্ষা করতে মারমুখী হয়ে উঠেন আরেক ওপেনার জর্জ মুনসে। পাওয়ার প্লেতে ২টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন তিনি। তার দেখাদেখি ১টি চার মারেন তিন নম্বরে নামা উইকেটরক্ষক ম্যাথু ক্রস। এতে ৭ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৪৪ রান তুলে ম্যাচে ফিরে স্কটল্যান্ড। এরপরই জমে যাওয়া মুনসে-ক্রস জুটি ভাঙ্গতে মরিয়া ছিলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের আশা পূরণ করেন অফ-স্পিনার মাহেদি হাসান। নিজের প্রথম ও ইনিংসের অষ্টম ওভারে ২ উইকেট তুলে নেন মাহেদি। দলীয় ৪৫ ও ৪৬ রানে মুনসে-ক্রসকেই বিদায় দেন মাহেদি। ১৭ বলে ১টি চারে ১১ রান করেন ক্রস। ২টি করে চার-ছক্কায় ২৩ বলে ২৯ রান করেন মুনসে।
দুই সেট ব্যাটসম্যানকে শিকার করে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। এতে স্কটল্যান্ডের মিডল-অর্ডারে ছোট ধস নামান মাহেদি ও সাকিব আল হাসান। সাকিব ২টি ও মাহেদি ১টি উইকেট নেন। এক পর্যায়ে ৫৩ রানেই ৬ উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড।
এ অবস্থায় দলের হাল ধরেন ক্রিস গ্রেভস ও মার্ক ওয়াট। মারমুখী মেজাজে ব্যাট করে স্কটল্যান্ডকে লড়াই করার পুঁিজ এনে দেন গ্রেভস। ২৮ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৫ রান করেন গ্রেভস। আর ১৭ বলে ২২ রান করেন ওয়াট। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪০ রান করে স্কটিশরা।
বাংলাদেশের মাহেদি ৩, মুস্তাফিজ-সাকিব ২টি করে এবং তাসকিন-সাইফুদ্দিন ১টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এখন সাকিব। এতে পেছনে পড়ে গেলেন শ্রীলংকার লাসিথ মালিঙ্গা।
৮৯ ম্যাচে ১০৮ উইকেট সাকিবের। ৮৪ ম্যাচে ১০৭ উইকেট মালিঙ্গার।