বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে বিশ্ব শিক্ষা নিতে চাই : ব্রিটেনের কপ-২৬ বিষয়ক আঞ্চলিক রাষ্ট্রদূত
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে বিশ্ব শিক্ষা নিতে চাই : ব্রিটেনের কপ-২৬ বিষয়ক আঞ্চলিক রাষ্ট্রদূত
যুক্তরাজ্য সরকারের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় কপ-২৬ বিষয়ক আঞ্চলিক রাষ্ট্রদূত কেন ও’ফ্লাহার্টি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্যভাবে ভাল কাজ করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি প্রশংসনীয় ন্যাশনালিটি ডেটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন্স (এনডিসি) জমাদান ব্রিটেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে বিশ্ব শিক্ষা নিতে চাই।
আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এবং যুক্তরাজ্য সরকারের কপ-২৬ বিষয়ক আঞ্চলিক রাষ্ট্রদূত ও ব্রিটিশ ডেলিগেশনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী এবং জলবায়ু পরিবর্তন শাখার অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেন ও’ফ্লাহার্টি বলেন, যুক্তরাজ্য বিশ্বব্যাপী জলবায়ু কর্মকান্ডের জন্য প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা, লস এন্ড ড্যামেজ এবং আর্টিকেল ৬ সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্বব্যাপী ঐক্যমতে পৌঁছাতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে।
তিনি বলেন, ব্রিটেন কপ-২৬-তে জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবভিত্তিক সমাধানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাছে। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু সহায়তায় তার অবদান দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন কর্মকান্ডের ক্ষেত্রে ব্রিটেন বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি এন্ড একশন প্ল্যান আপডেট এবং ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত করছে। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান প্রণয়ন করেছে। মন্ত্রী বলেন, পূর্ববর্তী এনডিসির তুলনায় কার্বন নিঃসরণ কমাতে বাংলাদেশ তার লক্ষ্যমাত্রা প্রায় তিনগুণ করে আপডেটেড এনডিসি জমা দিয়েছে। পর্যাপ্ত তহবিল ও প্রযুক্তির সাহায্য পেলে বাংলাদেশ তার অবদান আরো বাড়াবে। বাংলাদেশ কপ-২৬ থেকে একটি কার্যকর ফলাফল আশা করে।