রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » চামড়া শিল্পখাতে সুইস উদ্যোক্তাদের আগ্রহ
চামড়া শিল্পখাতে সুইস উদ্যোক্তাদের আগ্রহ
বাংলাদেশে চামড়া শিল্পখাতে সুইজারল্যান্ডের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড। আজ সকালে শিল্প মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে সুইস উদ্যোক্তাদের চামড়া শিল্প নিয়ে কাজ করার আগ্রহের কথা জানান। সুইজারল্যান্ডের উদ্যোক্তাদের আগ্রহকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি। এ সময় শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সুইস রাষ্ট্রদূত সুইজারল্যান্ডের জুরিখভিত্তিক একটি ট্যানারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের চিঠি মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন এবং নিজে সাভারের ট্যানারী শিল্পনগরী পরিদর্শনের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। শিল্পমন্ত্রী তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সাভারের ট্যানারী শিল্পনগরীতে কেন্দ্রিয়ভাবে সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং এ সংক্রান্ত সমস্যাসমূহ সমাধানের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে তাদের যে কোনো ধরণের সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে সুইজারল্যান্ডের সাথে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানবিক উন্নয়নখাতে সুইজারল্যান্ড অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এছাড়া রসায়ন, ওষুধ, অবকাঠামো, কারিগরি সেবা এবং ভোগ্যপণ্যখাতে সুইস বিনিয়োগ উল্লেখ করার মত। তিনি এসব খাতে সুইস উদ্যোক্তাদের আরও বিনিয়োগের আহবান জানান।
সাক্ষাতকালে উভয়ে মেধাসম্পদ সুরক্ষায় নতুন নতুন উদ্ভাবনের পেটেন্ট, ডিজাইন, পণ্য ও সেবার ট্রেডমার্কস্ এবং ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) ইত্যাদি ইস্যুতে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের কি ধরণের সহযোগিতা দরকার, রাষ্ট্রদূত তা জানানোর অনুরোধ জানান।
শিল্পমন্ত্রী বাংলাদেশের বস্ত্র ও পোশাকখাতে আমদানি বৃদ্ধির জন্যও সুইস রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহবান জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ এক দশকে প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আরও বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। সুইস ফেজারেল কাস্টমস্ প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী ২০২০ সালে দু’দেশের মধ্যে প্রায় ৮১ কোটি ফ্রাঙ্ক সমমূল্যের পণ্য লেনদেন হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ রফতানি করেছে ৬৮ কোটি সুইস ফ্রাঙ্ক এবং বাংলাদেশ আমদানি করেছে ১৩ কোটি সুইস ফ্রাঙ্ক মূল্যের পণ্য।