শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
N2N Online TV
বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ভ্যাকসিন সমতায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশের আহ্বান
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ভ্যাকসিন সমতায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশের আহ্বান
১৫৮ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ভ্যাকসিন সমতায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশের আহ্বান

---

করোনার ভয়াবহ দৃশ্যপট তুলে ধরে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা করোনা টিকা লাভে সার্বজনীন ও সাশ্রয়ী অধিকার নিশ্চিত করতে অংশীজনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বক্তব্য অনুসরণে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, টিকা উৎপাদনে সক্ষম উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাথে প্রযুক্তি ভাগ করে নিলে উৎপাদন ও বিতরণ পর্যায়ে বিশাল সক্ষমতা সৃষ্টি হবে। যা ভ্যাকসিন সমতা নিশ্চিত করতে পারবে।

স্থানীয় সময় বুধবার (৬ অক্টোবর) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটির সাধারণ বিতর্কে প্রদত্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটি কোভিড-১৯ অতিমারি এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দ্বৈত সঙ্কটকালে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে “সঙ্কট, প্রতিকূলতা মোকবিলায় সক্ষমতা এবং পুনরুদ্ধার -এজেন্ডা ২০৩০ এর অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা”। প্রতিপাদ্যের লক্ষ্য অতিমারি থেকে টেকসই ও সক্ষমতাপূর্ণ পুনরুদ্ধারের জন্য সাহসী এবং উচ্চভিলাসী বৈশ্বিক রোডম্যাপকে এগিয়ে নেওয়া এবং যথাসময়ে এজেন্ডা ২০৩০ অর্জন করা।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায় গৃহীত সাম্প্রতিক পদক্ষেপসমূহের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, আসন্ন জলবায়ূ ও জীববৈচিত্র বিষয়ক রাষ্ট্র সম্মেলনে যাতে সাহসী ও উচ্চাভিলাসী ফলাফল অর্জিত হতে পারে সে বিষয়ে আরও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা দরকার।

তিনি বলেন, ৪৮টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত ক্লাইমেট ভারনারেবল ফোরাম -এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন হ্রাস, জলবায়ু-অর্থায়ন বৃদ্ধি, প্রযুক্তি হস্তান্তর সহজতর করা এবং অভিযোজন পদক্ষেপসমূহের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।

দেশের বাইরে থেকে আসা অর্থায়নের গুরুত্ব তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা রপ্তানি আয়, রেমিটেন্স, ওডিএ এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেসরকারি অর্থায়ন পুনরুজ্জীবিত করতে উন্নয়ন অংশীদারদের যে ভূমিকা রয়েছে তা পালনের প্রতি অনুরোধ জানান।

রেমিটেন্সের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় চাকরি পুনঃপ্রাপ্তিতে অভিবাসী কর্মীদেরকে অন্তর্ভূক্ত রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ভূমিকার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ডিজিটাল বৈষম্য দূরকল্পে সকল অংশীজনদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ প্রক্রিয়ার উদাহরণ টেনে তিনি এলডিসিসহ সদ্য উত্তরিত দেশগুলোর জন্য সাহসী ও উচ্চভিলাসী কর্মসূচি গ্রহণেরও আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে নারীদের তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও উত্তরণ প্রচেষ্টায় অবশ্যই নারীদেরকে সম্মুখসারিতে স্থান দিতে হবে।

উল্লেখ্য বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক বিষযাবলী নিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটি কাজ করে থাকে।



আর্কাইভ