মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » বিজ্ঞাপনবিহীন বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের নির্দেশ
বিজ্ঞাপনবিহীন বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের নির্দেশ
সব চ্যানেল বন্ধ না রেখে বিজ্ঞাপনবিহীন (ক্লিন ফিড) বিদেশি টিভি চ্যানেলে বা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের নির্দেশ দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৪ অক্টোবর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রুজিনা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ক্লিন ফিড ছাড়া কোনও বিদেশি টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে পারবে না মর্মে সংশ্লিষ্ট সকলকে পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে, কোনও কোনও বিদেশি টিভি চ্যানেল ক্লিন ফিড থাকা সত্ত্বেও গত ১ অক্টোবর থেকে সম্প্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে। যা কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬-এর পরিপন্থী।
তথ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ডিডব্লিউ, এনএইচকে ওয়ার্ল্ড, বিবিসি ওয়ার্ল্ড, ভয়েস অব আমেরিকা, আলজাজিরা, সৌদি কোরআন, সৌদি আরাবিয়া, সিজিটিএন, রাশিয়া টুডে, ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোর, কেবিএস ওয়ার্ল্ড, সিএনএন, লোটাস ম্যাকাও, ট্রাভেলএক্সপি এইচডি, সিনেমা অ্যাকশন, সিনেমাসি কমেডি, আরিরাং, টিভিফাইভ মন্ডে, নাইনএক্সএম চ্যানেলগুলো ক্লিন ফিড।
গতকাল সোমবার (৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে ২৪টির বেশি বিদেশি চ্যানেল ক্লিন ফিড দেয়, এগুলো চালাতে কোনো বাধা নেই। এরপরও এগুলো কেউ না চালালে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ হবে।
মন্ত্রী বলেন, কেবল অপারেটর ও ডিস্ট্রিবিউটরদের লাইসেন্সের শর্ত মেনে চলতে হবে। কেউ আইন ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে কেবল লাইন ডিজিটালাইজেশন করতে হবে। বিদেশি চ্যানেলের ক্লিন ফিড নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তারা দেশ ও মিডিয়ার শত্রু বলে মন্তব্য করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের আকাশ সবার জন্য উন্মুক্ত। শুধু ইউরোপের দেশ নয়, উপমহাদেশের সব দেশেই ক্লিন ফিড চালাতে হয়। সে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হয়েছে। আইন বাস্তবায়নের জন্য কেবল অপারেটরদের ২ বছর সময় দেওয়া হয়েছিল। সবার সঙ্গে বৈঠক করেই ১ অক্টোবর থেকে আইনটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন একটি মহল থেকে এটা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চলছে। তারা দেশ, মিডিয়া, শিল্পী কলাকুশলী সবার বিপক্ষে গিয়ে তারা অবস্থান নিচ্ছে।