শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | শিক্ষা ও প্রযুক্তি | শিরোনাম » আইনজীবী সনদ পেলেন ৫৯৭২ জন
আইনজীবী সনদ পেলেন ৫৯৭২ জন
মৌখিক পরীক্ষা শেষে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসেবে সনদ পেলেন ৫৯৭২ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ৯ জন পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট আটকে রাখা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে বলা হয়েছে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দাখিল সাপেক্ষে তাদের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। একইসঙ্গে ইবাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষার্থীর রিট পিটিশন নিষ্পত্ত্বি না হওয়ায় তাদের ফল প্রকাশ করা হয়নি।
শনিবার বিকালে বার কাউন্সিলের ওয়েব সাইটে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়াম ও জাজেস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ধাপে ধাপে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। কয়েকটি বোর্ড এ পরীক্ষা নিয়েছেন।
গত ২৯ মে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ১৩ হাজার আইন শিক্ষানবিশ অংশ নেন। তালিকাভুক্তি করণ লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবারের লিখিত পরীক্ষায় ১৩ হাজারের মতো শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৫৩৩৫ জন।
পরে জানানো হয়, ২৩০ জন পরীক্ষার্থীর ফল থার্ড এক্সামিনারের সিদ্ধান্তের জন্য স্থগিত রয়েছে এবং একজনের পরীক্ষার ফল উইথহেলড রাখা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার কারণে লিখিত পরীক্ষা দুইবার পিছিয়ে নেয় বার কাউন্সিল। ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৯টি কেন্দ্রে। রাজধানীর আজিমপুর গভমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শেখ বোরহান উুদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দি কলেজ, মোহাম্মাপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মাদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, সেন্ট্রাল ইউমেন্স কলেজ, বিসিএসআইআর হাইস্কুল, গভর্মেন্ট মোহাম্মাদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ।
এর মধ্যে মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, বিসিএসআইআর উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরে বাতিল ৫টি কেন্দ্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি।
৯টি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। এদের মধ্যে পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিনের অজুহাতে কিছু শিক্ষার্থী বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের এবং অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে এমসিকিউতে উত্তীর্ণ হন মাত্র আট হাজার ৭৬৪ জন। এ ছাড়া ২০১৭ সালে ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া ৩ হাজার ৫৯০ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী এবারের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।
২০২০ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় বার কাউন্সিল। কিন্তু করোনার কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। তাই করোনার সংক্রমণের মধ্যে পূর্বের নোটিশ অনুসারে পরীক্ষা নিতে পারেনি বার কাউন্সিল। পরে, ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়।