শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রণে শীঘ্রই ভ্যাকসিন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে - মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রণে শীঘ্রই ভ্যাকসিন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে - মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রণে দেশে শীঘ্রই ভ্যাকসিন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি জোরদারকরণ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান মন্ত্রী।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।
সেমিনারে মন্ত্রী বলেন, “খুব শীঘ্রই কারিগরি কমিটি গঠন করে ভ্যাকসিন নীতিমালা প্রণয়নের কাজ হাতে নেওয়া হবে। যে ভ্যাকসিন আমাদের দেশে উৎপাদন হচ্ছে সে ভ্যাকসিনের মান আরো উন্নত করে এর পরিসর বাড়ানো হবে। যে সব রোগের ক্ষেত্রে আরো ভ্যাকসিনেশন দরকার সে সব রোগের ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়ানো হবে। আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। প্রয়োজনে আরো বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা হবে”।
“মেধাবী জাতি তৈরিতে পুষ্টিমানসমৃদ্ধ খাবার দরকার। সেক্ষেত্রে মাংস, মাছ, দুধ, ডিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ পণ্যগুলো যদি গুণগত মানসম্পন্ন না হয়, শুধু উৎপাদন বাড়িয়ে মেধাবী জাতি সৃষ্টি করা যাবে না। সে জন্য মানসম্পন্ন পণ্য তৈরিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি। আমাদের আন্তর্জাতিকমানের গবেষণাগার রয়েছে, এর পরিসর আরো বাড়ানো হবে। কী কী প্রক্রিয়ায় গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা যায়, সে বিষয়গুলোও গভীরভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।”-যোগ করেন মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “প্রাণিসম্পদ খাতকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ করতে চাই। এ খাত বেকারত্ব দূর করায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে, মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখছে, খাবারের একটি বড় যোগান দিচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখতে ভূমিকা রাখছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রেও এ খাত একটি বড় ধরনের সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করবে। এ খাতকে আমরা যত সমৃদ্ধ এবং গুণগতমানে উন্নত করতে পারবো, এ খাত ততই আমাদের কল্যাণ বয়ে আনবে।”
এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কঠোর অবস্থানে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “একসময় দেশে বার্ড ফ্লু নিয়ে শঙ্কিত অবস্থা ছিল। সেখান থেকে অমাদের উত্তরণ হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ থেকে কোনোভাবে যেন বার্ড ফ্লু সংক্রমণ ঘটতে না পারে সে জন্য সীমান্তে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। জুনোটিক রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি জায়গায় প্রতিটি স্তরে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে”।
“সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে যার যার অবস্থান থেকে গুণগত সামর্থ্য কাজে লাগাতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতামত ও পরামর্শের আলোকে প্রাণিসম্পদ খাতকে আরো সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি”-জানান মন্ত্রী।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল জলিল ও এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম ও বিএলআরআই-এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি, মোঃ তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলমসহ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বিএলআরআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রাণিসম্পদ খাতের বিজ্ঞানী, গবেষক ও উদ্যোক্তাগণ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।