শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | রাজশাহী | শিরোনাম » ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী, যুবক কারাগারে
৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী, যুবক কারাগারে
নওগাঁয় ৯ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে কৌশলে ধর্ষণ ও ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগে আব্দুল মোমিন (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নওগাঁ পৌর এলাকার মৃর্ধাপাড়া চকএলাম মহল্লা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এর আগে এই ঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মোমিনকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ওইদিন দুপুরে মোমিনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মৃধাপাড়া চকএলাম মহল্লার সাজেদুর রহমানের ছেলে আব্দুল মোমিন একই মহল্লার ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেই সুবাদে মোমিন নানা প্রলোভনে ও কৌশলে ওই ছাত্রীর সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা শুরু করে। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে এবং তাকে বিয়ে করার জন্য মোমিনকে চাপ দেয়। এসময় মোমিন তা অস্বীকার করে।
ওই ছাত্রীর পরিবারের দাবি, সে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পর গত বুধবার বিয়ের দাবি নিয়ে মোমিনের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়। এসময় মোমিন ও তার পরিবারের লোকজন ওই ছাত্রীকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এই ঘটনায় চরম অপমানিত হয়ে ওই ছাত্রী লোক লজ্জায় নিজ বাড়িতেই আত্মোগোপন করে।
এদিকে ছাত্রীর পরিবার বিচার পাওয়ার আশায় অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে অবশেষে নওগাঁ সদর সদর মডেল থানায় এসে ঘুরপাক খেতে থাকে।
বিয়য়টি নজরে আসে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ রাজিবুল ইসলামের। তিনি ভিকটিমের লোকজনদের নিজ কক্ষে ডেকে নেন । তাদের মুখে সব কথা শুনে রাতেই অভিযান চালিয়ে মোমিনকে আটক করেন। এ বিষয়ে মেয়ের মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওসি (তদন্ত) মোঃ রাজিবুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার মোমিন ওই ছাত্রীর সঙ্গে চরম প্রতারণা করে তার সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা করেছে। একপর্যায় ওই ছাত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিয়ের দাবি নিয়ে তার বাড়িতে গেলে উল্টো ওই ছাত্রীকে হতে হয়েছে লাঞ্চিত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নওগাঁ সদর মডেল থানার এস আই জান্নাতুন ফেরদৌসী বলেন, আটক মোমিনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে এবং মামলাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা তাও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে গ্রেফতার আব্দুল মোমিনের পিতা সাজেদুর রহমান নিজ ছেলের এই কুকীর্তির কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য এসব ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।