বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » কাজের প্রলোভনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, মূলহোতা গ্রেপ্তার
কাজের প্রলোভনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, মূলহোতা গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আসমানখালী বাজারের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে পুলিশ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি উপজেলার শালিকা গ্রামের আবু ছদ্দিনের ছেলে মুলাম হোসেন (৫০)।
মামলার আসামিরা হলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার শালিকা গ্রামের আবু ছদ্দিনের ছেলে মুলাম হোসেন (৫০), একই উপজেলার বন্দরভিটা গ্রামের মৃত সন্টুর ছেলে রিপন আলী ওরফে লিপন (৩৫), শালিকা গ্রামের বারেক আলীর ছেলে হাসান আলী (৪০), জসিম উদ্দিনের ছেলে নাজিরুল ইসলাম (২৫), মহেশপুর গ্রামের মৃত তপেল বিশ্বাসের ছেলে হাবু হোসেন (৪২), নান্দবার গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে হামিদুল ইসলাম (৩৪), আসমানখালী গ্রামের মনসের আলীর ছেলে মিজানুর কলু (৪০) ও অজ্ঞাত আরও একজন।
পুলিশ জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার রুইতনপুর গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী পার্শ্ববর্তী আসমানখালী গ্রামের মিজানুর রহমান কলুর কাছে একটি কাজ ঠিক করে দিতে অনুরোধ করে। মিজানুর রহমান কলু কাজ ঠিক করে দেয়ার প্রলোভন দিয়ে আসমানখালী বাজারে আসতে বলেন। পরে গত মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী নারী আসমানখালী বাজারে মিজানুর রহমান কলুর সঙ্গে দেখা করে। এ সময় কলুর সঙ্গে থাকা পার্শ্ববর্তী শালিকা গ্রামের মুলাম হোসেন কাজটি করে দেয়ার কথা বলে ওই নারীকে বাজারের একটি দ্বিতল ভবনের কক্ষে নিয়ে যান।
এদিকে তাদের সঙ্গে বন্দরভিটা গ্রামের মৃত সেন্টুর ছেলে রিপন ওরফে লিপন (৩৫), শালিকা গ্রামের বারেক আলীর ছেলে হাসান (৪০), জসিম উদ্দিনের ছেলে নাজিরুল (২৫), মহেশপুর গ্রামের মৃত তপেল বিশ্বাসের ছেলে হাবু (৪২) ও নান্দবার গ্রামের মান্নানের ছেলে হামিদুল (৩৪) মিজানুর কলুর সঙ্গে যোগ দেন। ওই নারী আসবে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে মিজানুর রহমান কলু আগে থেকেই তাদের মুঠোফোনে ডেকে নেন।
এরপর তারা জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ওই নারীকে। ধর্ষণ শেষে তারা বিকেলের দিকে ওই কক্ষে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ভুক্তভোগী নারী সেখান থেকে বাড়ি চলে যান। বাড়ি যাওয়ার পথে অভিযুক্ত মিজান ও রিপন ভুক্তভোগী নারীকে টাকা দিতে চান। এ সময় ওই নারী টাকা নিতে না চাইলে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য তাকে হুমকি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত মুলামকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। মামলার বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।