শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
N2N Online TV
বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » বাংলাদেশ ও অষ্ট্রেলিয়ার মধ্যে টিফা স্বাক্ষর হওয়ায় বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » বাংলাদেশ ও অষ্ট্রেলিয়ার মধ্যে টিফা স্বাক্ষর হওয়ায় বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে
১৮০ বার পঠিত
বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশ ও অষ্ট্রেলিয়ার মধ্যে টিফা স্বাক্ষর হওয়ায় বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে

---

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সরকার বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত সেবা প্রদান আরও সহজ করা হয়েছে।
তিনি মনে করেন বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে অষ্টেলিয়ার বিনিয়োগকারিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ এবং অষ্ট্রেলিয়ার মধ্যে ট্রেড এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক এ্যারেঞ্জমেন্ট (টিফা) স্বাক্ষরের ফলে উভয় দেশের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ও অষ্ট্রেলিয়ার মধ্যে টিফা স্বাক্ষর হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় অষ্ট্রেলিয়ার পক্ষে ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদান দেন ও টিফায় স্বাক্ষর করেন অষ্ট্রেলিয়ার ট্রেড, ট্যুরিজম এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট মন্ত্রী ডান টিহান।
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশ’ স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। অষ্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ অষ্ট্রেলিয়ায় ৮০৪ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে ৫৯৬ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। তবে কোভিড-১৯ এর কারণে বিগত দু’বছর বাণিজ্য আশানুরূপ হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অষ্ট্রেলিয়ার ট্রেড, ট্যুরিজম এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট মন্ত্রী ডান টিহান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান। তিনি অষ্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, টিফা স্বাক্ষরের মাধ্যমে উভয় দেশের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আইসিটি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিক ও শিক্ষাসহ বেশকিছু সম্ভাবনাময় সেক্টর রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ মুজিব জন্মশতবর্ষ উদযাপন করছে। অষ্ট্রেলিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে প্রথম এবং বিশে^র মধ্যে চতুর্থ স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশ। এজন্য বাংলাদেশ অষ্ট্রেলিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ। চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সারা বিশে^র মতো বাংলাদেশও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করে যাচ্ছে সরকার। তিনি ভ্যাকসিন উৎপাদকারী দেশ হিসেবে অষ্ট্রেলিয়াকে মানবিক কারণ বিবেচনায় বাংলাদেশে কোভিড ভ্যাকসিন অনুদান হিসেবে সরবরাহের অনুরোধ জানান।
তিনি আরও বলেন, অষ্ট্রেলিয়া বিগত ২০০৩ সালে থেকে বাংলাদেশকে শুল্কমূক্ত এবং কোটামূক্ত বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করছে, এজন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। আগামী ২০২৬ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও অষ্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে প্রদত্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি বিশ^বাণিজ্য সংস্থায় এলডিসি গ্রুপের প্রস্তাবে সমর্থন থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত অষ্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমাই ব্রুয়ার, ভার্চুয়ালিযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন অষ্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ শফিউর রহমান। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, অষ্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসনসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কমকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।



আর্কাইভ