শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
N2N Online TV
মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » হাইজিন খাতের বরাদ্দ বাড়লেও সার্বিক এডিপি বৃদ্ধির তুলনায় কম
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » হাইজিন খাতের বরাদ্দ বাড়লেও সার্বিক এডিপি বৃদ্ধির তুলনায় কম
১৮৮ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

হাইজিন খাতের বরাদ্দ বাড়লেও সার্বিক এডিপি বৃদ্ধির তুলনায় কম

---

প্রান্তিক ও দূরবর্তী এলাকার মানুষের পরিচ্ছন্নতা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের পরিচ্ছন্ন বাজেট অপ্রতুল। প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) পরিচ্ছন্ন খাতের বরাদ্দ বাড়লেও তা সার্বিক এডিপি বৃদ্ধির তুলনায় কম বলে জানালেন বিশেষজ্ঞরা।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিরাপদ স্যানিটেশন, পরিবেশ ও সক্ষমতা তৈরির বিষয়ে বাজেটে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা অপ্রতুল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। এর ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো ধীরগতিতে বাস্তবায়িত হবে বলেও তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে আঞ্চলিক বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক প্রবণতা রয়েছে। হাওর এবং পার্বত্য এলাকায় বরাদ্দ কিছুটা বেড়েছে। তবে চর এবং উপকূলীয় এলাকায় বরাদ্দ বাড়েনি। বক্তারা বলেন, এ ধারাটি উপকূলীয় অঞ্চল ও চরে বসবাসকারী মানুষের জন্যও যথাযথভাবে অব্যাহত রাখা উচিত, যাতে করে কেউ যেনো পিছিয়ে না পড়ে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় প্রকল্পগুলো নির্বাচনের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে মনোযোগী হওয়া এবং গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের পরিচ্ছন্ন খাতের বরাদ্দের ব্যবধান ঘোচানোর ওপর বক্তারা গুরুত্বারোপ করেন। দূরবর্তী অঞ্চলের প্রান্তিক কমিউনিটির মানুষের জন্য আসন্ন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় বর্তমান বাজেটে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা কম বলেও অনুষ্ঠানে বক্তারা মতামত তুলে ধরেন।

ওয়াটার এইড, পিপিআরসি, ফানসা-বিডি, এফএসএম নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন), স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল এন্ড ওয়াটার পোভার্টি, এমএইচএম প্ল্যাটফর্ম, ইউনিসেফ ও ওয়াশ অ্যালায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

ওয়াটারএইডের সহযোগিতায় পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সামগ্রিক এডিপি ৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধির তুলনায় পরিচ্ছন্নতা বাবদ এডিপি বরাদ্দ ৫.৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটের এডিপি বাজেটে পরিচ্ছন্নতা বাবদ মোট বাজেট হলো এডিপি বরাদ্দের ২৪৬০.৬৬ বিলিয়ন টাকার মধ্যে মাত্র ১১৮.২ বিলিয়ন।

স্থানিক বৈষম্য চিহ্নিত করে এবারের বাজেটে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে; তবে, কিছু খাতে বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে বলে তারা মনে করেন। হাওর ও পার্বত্য এলাকায় বাজেট বরাদ্দ বেশ ইতিবাচক ছিলো। তবে, চর ও উপকূলীয় এলাকায় বাজেট বরাদ্দ পর্যাপ্ত ছিলো না। ইতিমধ্যে, শহরাঞ্চলের মধ্যে বাজেট বরাদ্দের বৈষম্য এখনো বিরাজমান রয়েছে। পরিচ্ছন্নতা বাবদ এডিপিতে স্থানীয় বৈষম্য দূরীকরণে বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য সুপারিশ করেন বক্তারা। এফএসএম খাতের বরাদ্দ হ্রাসের বিষয়টি দেশজুড়ে স্যানিটেশন কাভারেজ বৃদ্ধির বিষয়টিকে বাধাগ্রস্ত করবে। তাই, প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিষয়টি নিবিড়ভাবে পুনর্বিবেচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত এবং ওয়াশ খাতের আসন্ন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার জন্য এফএসএম খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার সুপারিশও করেন বক্তারা।

হাইজিন খাতে কিছুটা বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়টি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক একটি পদক্ষেপ। তবে, শুধুমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এর বাস্তবায়ন করলে পুরো দেশজুড়ে ওয়াশ খাতের কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হবে না। তাই, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মাল্টি-অ্যাজেন্সির মাধ্যমে সামগ্রিক নীতি কৌশল গ্রহণ করা উচিত।

পিপিআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ওয়াটারএইডের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর হোসেন ইশরাত আদিব ও ওয়াশ নেটওয়ার্কের প্রতিনিধিগণ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়া, সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ওয়াশ স্পেশালিস্ট, সাংবাদিক ও উন্নয়ন কর্মীরা।