সোমবার, ২৭ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » “সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা সহ সিলেট অঞ্চলের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী”
“সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা সহ সিলেট অঞ্চলের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী”
আজ সকালে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকা সহ নেত্রকোনা ও সিলেট জেলার বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি। সকালে ঢাকার তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টার যোগে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শামিউল ইসলাম সাদি এবং মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোঃ রেয়াজুল হক এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের সাথে কথা বলেন ও সেখানে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং সেখানে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং বেসরকারি হাসপাতালের মালিক, সংগঠন ও কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।
সভায় বন্যাকবলিত মানুষের চলমান স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবগত করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেখানে বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ২৪ ঘন্টা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাসহ সব রকম বিপদে পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন। সভায় মন্ত্রী বন্যাকালীন ও বন্যা পরবর্তী সময়ে সম্ভাব্য রোগের প্রাদুর্ভব মোকাবিলা এবং কোভিড সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, “বন্যাকবলিত মানুষগুলি আমাদেরই ভাই, আমাদেরই বোন। তাঁরা এখন পানিবন্দী জীবন-যাপন করছেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক নির্দেশনায় তাঁদের ঘরে একদিকে শুকনা খাবার সরকার নিশ্চিত করা হয়েছে, পানিবাহিত নানা রোগব্যাধি থেকে মুক্ত রাখতে স্বাস্থ্যখাতও জোড়ালোভাবে এগিয়ে এসেছে। এসব এলাকায় এখন সাপের কামড় থেকে বাঁচাতে দ্রুত অ্যান্টিভেনম (Antivenom) ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন সরবরাহ করতে হবে। কোভিড সমস্যায় জরুরি ব্যাবস্থা নিতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে গুরুতর কোনো রোগীকে ঢাকায় প্রেরণ করতে হবে। বন্যাকবলিত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবার কোনো ঘাটতি মেনে নেয়া হবে না।”
বন্যার্ত মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বিক নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় আরো বলেন, বন্যার্ত মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার সার্বক্ষণিক নির্দেশনা রয়েছে। তিনি বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের সব মহলকে নির্দেশনা দিয়েছেন। বন্যা দুর্গত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও সমবেদনা জানাতে তিনি নিজেও এসেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বন্যায় কারো খাদ্য, চিকিৎসার কোন ব্যত্যয় হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা নেতৃত্বে আমরা বন্যা ও কোভিড মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। স্থানীয় প্রশাসন ,পুলিশ বাহিনী, বিভিন্ন সংগঠন, সেনাবাহিনী সহ সকলেই সহযোগিতা করেছে এজন্য সকলকেই ধন্যবাদ। ইনশাআল্লাহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আগামী দিনেও দেশের যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা সক্ষম হবো ইনশা আল্লাহ।
মত বিনিময় সভা শেষে মন্ত্রী সেখানে কর্মরত সেনাবাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নিকট আরো কিছু ত্রাণ সামগ্রী দুর্গম এলাকায় পৌছে দিতে হস্তান্তর করেন। এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিলেটে হজরত শাহজালাল (রাঃ) এর মাজার জিয়ারত করেন।
বন্যা কবলিত মানুষের কল্যাণের জন্য করণীয় বিষয়ে মত বিনিময় সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোশিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান, এমপি সহ সিলেট জেলা প্রশাসন ও জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।