সোমবার, ২৭ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » এক লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে প্রস্তাব বাংলাদেশের, যা বলল যুক্তরাজ্য
এক লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে প্রস্তাব বাংলাদেশের, যা বলল যুক্তরাজ্য
ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাকারী উল্লেখ করে দেশটিকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া এক লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বাংলাদেশের ওপর থেকে রোহিঙ্গাদের বোঝা কমাতে এবং উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে মন্ত্রী এই প্রস্তাব দেন।
স্থানীয় সময় রোববার (২৬ জুন) রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে অনুষ্ঠিত একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রাসকে ড. মোমেন এ প্রস্তাব দেন। এ সময় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমও উপস্থিত ছিলেন।
ড. মোমেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, যুক্তরাজ্য ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের বিশ্বনেতা। বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এক লাখ রোহিঙ্গাকে একটি উন্নত জীবন দিতে পুনর্বাসনের বিষয়ে বিবেচনা করতে পারে যুক্তরাজ্য। এতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বোঝা কিছুটা হলেও কমবে।
জবাবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রাস বলেন, যদি যুক্তরাজ্য এটির দিকে নজর দিতে পারে। তবে রোহিঙ্গা সংকটের সর্বোত্তম সমাধান হবে পাশাপাশি তাদের স্বদেশে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির অভাবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাজ্য গত তিন বছরে মিয়ানমারে আড়াই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে। দু’দেশের বাণিজ্য হয়েছে ৫০০ মিলিয়নের বেশি। তাদের উচিত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চাপ দেওয়া।
জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ট্রাস রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে যুক্তরাজ্যের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আসিয়ান ও এর সহযোগী জি৭ দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াবে।