রবিবার, ১৯ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » আসাম-মেঘালয়ে বন্যায় মৃত বেড়ে ৪২, ত্রিপুরায় ১০ হাজার গৃহহীন
আসাম-মেঘালয়ে বন্যায় মৃত বেড়ে ৪২, ত্রিপুরায় ১০ হাজার গৃহহীন
প্রবলবৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় দুই রাজ্য আসাম ও মেঘালয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ জনে। এছাড়া রাজ্য দু’টিতে দুর্যোগপীড়িত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০ লাখ।
অন্যদিকে প্রবলবৃষ্টি ও বন্যায় ভারতের আরেক উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় ১০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে দুর্গত মানুষকে উদ্ধার অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে ব্যবহারের দাবি উঠেছে। শনিবার (১৮ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, প্রবলবৃষ্টি ও বন্যায় চলতি সপ্তাহে আসামে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে এবং আরেক রাজ্য মেঘালয়ে এই একই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে। অর্থাৎ দুই রাজ্য মিলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ জনে।
অন্যদিকে, একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে ত্রিপুরায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর নেই। এছাড়া রাজ্যটির সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গত ৬০ বছরে মধ্যে আগরতলায় এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার কারণে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মেঘালয়ের মাওসিনরাম ও চেরাপুঞ্জিতেও ১৯৪০ সাল থেকে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বন্যায় নিহতদের পরিবারকে ৪ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
আসামে ৪ হাজারেরও বেশি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে এবং ১ লাখ ৫৬ হাজার মানুষকে ৫১৪টি আশ্রয় শিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু বেড়িবাঁধ, কালভার্ট ও রাস্তাঘাট।
শনিবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আসামের হোজাই জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে তিন শিশু নিখোঁজ হয়েছে এবং ২১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে ফোন করে বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলেছেন এবং কেন্দ্র থেকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রতিবেশী অরুণাচল প্রদেশে সুবানসিরি নদীর পানিতে স্থানীয় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য নির্মাণাধীন একটি বাঁধ ডুবে গেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা পিটিআই। এছাড়া আসাম সরকার বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে আটকে পড়া লোকদের জন্য গৌহাটি ও শিলচরের মধ্যে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে।