মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » পশ্চিমবঙ্গে ইলিশের আকাল, ঝাঁকে ঝাঁকে মিলছে বাংলাদেশে!
পশ্চিমবঙ্গে ইলিশের আকাল, ঝাঁকে ঝাঁকে মিলছে বাংলাদেশে!
ভারতের গঙ্গা মোহনায় কিছুতেই মিলছে না ইলিশের দেখা। হা-হুতাশ করছেন পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, গঙ্গায় দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গেছে যে, মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে মাছের রাজা ইলিশ। ফলে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী মাছের অভিমুখ এখন বাংলাদেশের পদ্মা বলে উল্লেখ করছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পেশ করেছে সাউথ এশিয়া নেটওয়ার্ট অফ ড্যাম রিভার অ্যান্ড পিপলস। যেখানে গঙ্গায় ইলিশের দেখা না পাওয়ার কারণ হিসেবে দূষণকেই বেশি মাত্রায় দায়ী করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গঙ্গা থেকে অচিরেই উধাও হয়ে হতে চলেছে মাছের রাজা ইলিশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিমবঙ্গে নদীর পাড় বরাবর গড়ে ওঠা শতাধিক পৌরসভার ময়লা, আবর্জনা ও কল-কারখানার বর্জ্যে গঙ্গায় দূষণের মাত্রা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে।
তাঁদের মতে, ডিম সংরক্ষিত রাখার জন্য ইলিশের মিষ্টি পানির প্রয়োজন হয়। সেজন্যই তারা গঙ্গায় আসে। কিন্তু দূষণের ফলে গঙ্গায় লবণের মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ার কারণেই ইলিশ এখন গঙ্গার মোহনায় এসেও ফিরে যাচ্ছে।
অন্যদিকে গঙ্গা থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে ইলিশের অভিমুখ এখন বাংলাদেশের দিকে বলেই উল্লেখ করছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পদ্মা পাড়ে এখন জাল ফেললেই ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। বাংলাদেশের মৎস্য বিভাগের এক পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, গত ২ বছরের তুলনায় বাংলাদেশে ১৯ শতাংশ ইলিশ বেশি ধরা পড়েছে। শুধু পদ্মাপাড়েই নয়, মিয়ানমার উপকূলেও এখন দেখা মিলছে প্রচুর ইলিশের।
বাংলাদেশের মৎস্য দফতরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ‘পদ্মা পাড় বরাবর ভারী শিল্প, কলকারখানা তেমন গড়ে ওঠেনি। তাই এখনও পদ্মার মোহনা ইলিশের কাছে ব্রাত্য হয়ে ওঠেনি।’
তবে গঙ্গার দূষণ বাড়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে মৎস্যজীবীদের। তাঁদের এখন মাথা চাপড়ানো ছাড়া কোনও উপায় নেই বলেই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।