সোমবার, ১৩ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » নতুন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ‘ব্যাপক অগ্রগতি’র দাবি চীনের
নতুন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ‘ব্যাপক অগ্রগতি’র দাবি চীনের
পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে বৈশ্বিক উদ্বেগের মধ্যেই নতুন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ‘ব্যাপক অগ্রগতি’র দাবি করেছে চীন। সিঙ্গাপুরে ‘শাংরি-লা ডায়ালগ’ শীর্ষক নিরাপত্তা সম্মেলনে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রয়োজন না হলে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার করবে না বেইজিং। খবর ফক্স নিউজ।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে যখন বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে, তখন একপ্রকার নীরবেই পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন করে যাচ্ছে চীন। একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের পূর্বাঞ্চলে ১০০টির বেশি নতুন পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র সাইলো বা ভূগর্ভস্থ অস্ত্রাগার নির্মাণ করছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গহি পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
সিঙ্গাপুরে ‘শাংরি-লা ডায়ালগ’ শীর্ষক নিরাপত্তা সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ‘ব্যাপক অগ্রগতি’ অর্জন করেছে বেইজিং। তবে চীন শুধু আত্মরক্ষার জন্যই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে। কখনো নিজে আগে এই অস্ত্র ব্যবহার করবে না বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া চীনের ডিএফ-৪১ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আরও উন্নত লঞ্চারসহ বেইজিংয়ে ২০১৯ সালের সামরিক কুচকাওয়াজে পারমাণবিক অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। এসব পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত এবং সেগুলো মোতায়েন রয়েছে বলে জানান ওয়েই ফেঙ্গহি। দেশের সুরক্ষার জন্য পারমাণবিক সামর্থ্য অর্জনে চীন সবসময় সঠিক পথই অনুসরণ করে আসছে বলেও উল্লেখ করেন চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, পাঁচ দশক ধরে সামর্থ্য বাড়াচ্ছে চীন। এ খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে বললে অত্যুক্তি হবে না। চীন তার নীতি বজায় রেখেছে। ‘আত্মরক্ষার জন্য আমরা এই সামর্থ্য কাজে লাগাব। আমরা প্রথমে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করব না। চীনের পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের মূল উদ্দেশ্য পারমাণবিক যুদ্ধ ঠেকানো। চীনের জনগণের পরিশ্রমের সুরক্ষা এবং আমাদের জনগণকে পারমাণবিক যুদ্ধের বিভীষিকা থেকে রক্ষা করতেই আমরা আমাদের পারমাণবিক সামর্থ্য বাড়িয়েছি।’
ওয়েই ফেঙ্গহি আরও বলেন, চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এখন এক সংকটময় মুহূর্তে পৌঁছেছে। সম্মেলনে এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে চীনের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি তাইওয়ানকে চীন থেকে আলাদা করার দুঃসাহস দেখায়, তা হলে আমরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করে শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। চীনা সামরিক বাহিনীর হাতে যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প থাকবে না।’
চীনের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত বাড়ানো নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। আর এর মধ্যেই নতুন পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের বিস্ফোরক দাবি করল বেইজিং।