শনিবার, ১১ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | শিরোনাম | সিলেট » ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক, বিশ্বস্ততার ও ন্যায্যতার : এলজিআরডি মন্ত্রী
ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক, বিশ্বস্ততার ও ন্যায্যতার : এলজিআরডি মন্ত্রী
ভারতের কাছে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
ভারত বাংলাদেশের বিশ্বস্ত ও বন্ধুপ্রতিম দেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে থাকা দেশটির সাথে আমাদের সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক, আস্থার এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত বলেও জানান মন্ত্রী।
আজ সিলেটে ধোপা দীঘির পাড়ে আয়োজিত ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত ধোপা দীঘির চতুর্দিকে ওয়াকওয়ে, ছয় তলা বিশিষ্ট স্কুল ভবন নির্মাণ কাজের এবং ছয় তলা বিশিষ্ট ক্লিনার কলোনি ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমাদের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে দেশটির সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চলমান রয়েছে। শুধু ভারত নয় যেকোনো প্রতিবেশী রাষ্ট্র অযৌক্তিক কাজ করলে আমরা সমর্থন করবো না। ভারতের সাথে আমাদের যে সম্পর্ক তা ন্যায্যতার। এই সম্পর্ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় থেকেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে এই সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
মোঃ তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ যেমন তাদের ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করতে পারেন তেমনি রাষ্ট্রের সকল সুযোগ-সুবিধা সমানভাবে ভোগ করে থাকেন। কিন্তু একটি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরির মাধ্যমে দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে সমতার ভিত্তিতে উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। কোন অঞ্চলকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। যেসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে সেসব প্রকল্পে বেশি গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
সিলেটবাসীর নিকট নিরাপদ ও সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য সিলেট ওয়াসা গঠন করা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটি প্রতিষ্ঠিত হলে এই শহরে পানির সমস্যার সমাধান হবে। সিলেটবাসী উপকৃত হবে। ওয়াসাকে কার্যকর করতে সকলের সহযোগিতা লাগবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান অতিথি বলেন, সম্প্রতি বন্যার ফলে সিলেট নগরীসহ এই অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কারে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেয়া হবে। একই সাথে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্ধিত এলাকার জন্য প্রকল্প নেয়া হলে তা অনুমোদন দেয়ারও আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আবদুল মোমেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন, ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
এসময়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, জেলা প্রশাসন এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
পরে, পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ভাই ও সরকারের সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী মরহুম ড. আবুল মাল আবদুল মুহিতের কুলখানি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।