বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির কারণে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে - মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির কারণে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে - মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বর্তমান সরকারের উদ্যোগে অভয়াশ্রম তৈরি ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির কারণে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। একটা সময় ইলিশ একেবারে বিলুপ্ত হওয়ার মতো অবস্থা হয়ে গিয়েছিল।
রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কেন্দ্রীয় অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আজ এসব কথা বলেন। মৎস্য অধিদপ্তর এ কর্মশালার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে ইলিশের সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় বাংলাদেশে। আমরা ইলিশের ভৌগোলিক নির্দেশক সনদ পেয়েছি। সারা বিশ্বে ‘বাংলাদেশের ইলিশ’ দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। সেটা ধরে রাখার জন্য সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, বেপরোয়া বালি উত্তোলন, নদীর গতি প্রকৃতি পরিবর্তন অথবা পানিতে তৈলাক্ত ও বিষাক্ত সামগ্রী ছাড়ার কারণে ইলিশের পরিবেশ নষ্ট হয়। ইলিশ স্পর্শকাতর মাছ। উপযোগী পরিবেশ না পেলে গভীর সমুদ্র থেকে নদীতে এসে আবার সমুদ্রে ফিরে যায়। এ জন্য ইলিশের অভয়াশ্রম সৃষ্টি করা ছাড়া ইলিশ ধরে রাখা যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, ইলিশের স্বাদ, রং, গন্ধ, প্রাকৃতিক বিচরণক্ষেত্র এসব নিয়ে আমাদের গবেষকরা প্রচুর গবেষণা করছেন। ইলিশের সুগন্ধ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা ও বিজ্ঞানীরা কাজ করছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।
কর্মশালায় জানানো হয়, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার ইলিশ আহরণকারী জেলে পরিবারকে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হবে। এ প্রকল্প ইলিশের স্থায়িত্বশীল উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি জাটকা ও ইলিশ জেলেদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে অবদান রাখবে। প্রকল্প সমাপ্তির পর ইলিশের উৎপাদন ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং পদ্মা নদীসহ অন্যান্য নদীতে ইলিশের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পাবে।