বুধবার, ১ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বুধবার (১ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, মঙ্গলবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন হার্টউইগ শেফার। তিনি ২০১৮ সালের ১ জুলাই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের পোর্টফোলিও দেখভাল করেন।
অর্থমন্ত্রী বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার কর্মকালীন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে, বিশেষত করোনাকালীন সময়ে বাজেট সহায়তা, কোভিড মোকাবিলা এবং কোভিড ভ্যাকসিন ক্রয়ে অর্থায়নের জন্য ধন্যবাদ জানান। অর্থমন্ত্রী এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনাকালীন সময়ে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপসহ দেশের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন।
ভিশন ২০৪১-কে সামনে রেখে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে এগিয়ে এসে উন্নয়নের অংশীদার হতে এসময় তিনি বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ জানান। ঢাকাকে আরো বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে বিশ্বব্যাংক বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে বলেও তিনি জানান।
এছাড়া দক্ষতা উন্নয়নে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে, স্বাস্থ্যখাতে উদ্ভাবনী সমাধান নিয়েও বিশ্বব্যাংক কাজ করতে পারে। এসময় তিনি সরকারের নতুন সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা নিয়েও ভাইস প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন। মন্ত্রী বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্টকে তার ভবিষ্যৎ জীবনের প্রতি শুভ কামনা জানিয়ে বাংলাদেশের প্রতি তার অবদানের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান।
দ্বিপক্ষীয় সভায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন অর্থনৈতিক এবং সামাজিক নির্দেশকে বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশের চেয়ে বর্তমানে অনেক এগিয়ে রয়েছে। বিশেষত করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়োচিত পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ আইডিএ এর সবচেয়ে বড় গ্রহীতা হিসেবে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করে যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দ্বিপক্ষীয় এই সভায় আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।