শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১
N2N Online TV
সোমবার, ৩০ মে ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » তিস্তা চুক্তি ১১ বছর ধরে আটকে আছে, এটা লজ্জার : মোমেন
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » তিস্তা চুক্তি ১১ বছর ধরে আটকে আছে, এটা লজ্জার : মোমেন
৯৬ বার পঠিত
সোমবার, ৩০ মে ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

তিস্তা চুক্তি ১১ বছর ধরে আটকে আছে, এটা লজ্জার : মোমেন

---

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর পানি ঢাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক এই নদীর পানির ন্যায্য পাওনা নিশ্চিতে তাই দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু যে কারণেই হোক, বাংলাদেশের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি এখনও।

আর তাই পরোক্ষভাবে বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী দেশের সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে তিস্তা চুক্তি আটকে থাকাকে লজ্জাজনক বলেও অভিহিত করেছেন তিনি। সোমবার (৩০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নিয়ে চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের মধ্যেই ঢাকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নেওয়ার চেষ্টা করছে ভারত। ঢাকা ও নয়াদিল্লি জুন মাসে উভয় পক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক যৌথ পরামর্শমূলক কমিশনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এটাই জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য ভারত সফরের পথ খুলে দেবে।

কিন্তু দুই দেশের মধ্যে একটি বিতর্কিত সমস্যা অমীমাংসিত রয়ে গেছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। আর তা হচ্ছে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি। এই পরিস্থিতিতে দিন দু’য়েক আগে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের গুয়াহাটিতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নদী কনফারেন্স শুরু হয়।

দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলনের সাইডলাইনে রোববার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমরা গত ১১ বছর ধরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি করতে পারিনি। ভারতের সঙ্গে আমাদের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। আমরা সকল নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পানি ভাগাভাগিসহ একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। মূলত উভয় দেশের নদীর পাড়ের মানুষের মঙ্গলের জন্যই যৌথ ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।’

দীর্ঘ ১১ বছর ধরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি আটকে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা লজ্জাজনক। আমরা প্রস্তুত ছিলাম, তারাও প্রস্তুত ছিল, কিন্তু সেই চুক্তি করা হয়নি। ভবিষ্যতে পানির জন্য বড় ধরনের হাহাকার দেখা দেবে এবং এর জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।’

৩১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তিস্তা নদী তিস্তা কংশে হিমবাহে উৎপন্ন হয়েছে এবং বাংলাদেশে প্রবেশের আগে নদীটি ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ১৯৪৭ সালে তিস্তার মূল এলাকাগুলো ভারতকে বরাদ্দ দেওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে।

২০১১ সালে ভারত তিস্তা নদীর ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ পানি বাংলাদেশের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে সম্মত হয় এবং ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ পানি ধরে রাখতে সম্মত হয় দেশটি। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার কারণে চুক্তিটি স্বাক্ষর করা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী শুরু থেকেই চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, ‘আসাম ও বাংলাদেশ একই সময়ে বন্যার সম্মুখীন হয়েছে। আর তাই পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রযুক্তির আরও সহযোগিতা নিতে হবে আমাদের। যৌথভাবে বন্যার আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক।’

ড. মোমেন বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় চীনে মাত্র ৩ শতাংশ, ভারতে মাত্র ৬ শতাংশ মানুষের জীবনযাপন নদীর কারণে প্রভাবিত হয়। তবে নিচু এলাকা হওয়ায় আমাদের ২৩ শতাংশ মানুষ ও তাদের জীবনযাত্রা প্রভাবিত হয়ে থাকে। এককভাবে একটি দেশের আন্তঃসীমান্ত নদীর বিষয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন করা উচিত নয়।’

‘আমাদের ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার বাসিন্দাদের সবার একসঙ্গেই দেখা উচিত, সেটি চীনের উন্নয়ন হোক বা ভারত বা বাংলাদেশের। আমাদের সবাইকে সমগ্র অববাহিকা এবং এর জনগণের ওপর প্রভাব নিয়ে ভাবতে হবে।’

তিস্তা নদীর ওপর ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়ে আলোচনা করছে বলে গণমাধ্যমে অনেক গুঞ্জন রয়েছে। প্রকল্পটির লক্ষ্য নদী অববাহিকাকে দক্ষতার সাথে পরিচালনা করা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা এবং গ্রীষ্মকালে পানির সংকট মোকাবিলা করা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনও তিস্তা নিয়ে চীনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব আসেনি। চীন যেটি প্রস্তাব করছিল তা প্রাথমিকভাবে একটি ফরাসি প্রকল্প ছিল, ১৯৮৯ সালে ফরাসি প্রকৌশলীরা একটি নকশা করেছিলেন। এটা অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় সেই সময় আমরা তা বহন করতে পারতাম না।’

‘এখন চীনারা সেই তিস্তা প্রকল্পের একটি অংশ নিতে চাচ্ছে। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে এটা নিয়ে কোনো প্রস্তাব পাঠায়নি। এটা কিভাবে সামনে এগোয় সেটি আমাদেরকে দেখতে হবে। কারণ তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যা সমাধানে এখন পর্যন্ত ভারত আসলে তেমন কিছুই করছে না। সে কারণেই চীন একটি প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। আর এটা বেশ লাভজনক প্রস্তাব।’



এ পাতার আরও খবর

দুই বাংলাদেশিকে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেল বিএসএফ দুই বাংলাদেশিকে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেল বিএসএফ
ঘরের ওপর বিদ্যুতের তার পড়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু ঘরের ওপর বিদ্যুতের তার পড়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
সালাম মুর্শেদী অবৈধভাবে বাড়ী দখল করেননি, তদন্ত রিপোর্ট অসম্পূর্ণ ও অনুনোমোদিত সালাম মুর্শেদী অবৈধভাবে বাড়ী দখল করেননি, তদন্ত রিপোর্ট অসম্পূর্ণ ও অনুনোমোদিত
ক্যামেরুনকে ১-০ গোলে হারালো সুইজারল্যান্ড ক্যামেরুনকে ১-০ গোলে হারালো সুইজারল্যান্ড
তথ্যমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ তথ্যমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ
মুজিবনগর সরকারের স্মৃতি বিজড়িত কলকাতার বাড়ি বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ মুজিবনগর সরকারের স্মৃতি বিজড়িত কলকাতার বাড়ি বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ইরানের উপ-মন্ত্রীর বৈঠক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ইরানের উপ-মন্ত্রীর বৈঠক
বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট নিরাপদ : প্রধানমন্ত্রী বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট নিরাপদ : প্রধানমন্ত্রী
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সরাসরি নৌযোগাযোগের ওপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সরাসরি নৌযোগাযোগের ওপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
জঙ্গি ছিনতাই : রাফি ৭ দিনের রিমান্ডে জঙ্গি ছিনতাই : রাফি ৭ দিনের রিমান্ডে

আর্কাইভ