বুধবার, ২৫ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বিমানবন্দর পরিচালনায় আমিরাতের সঙ্গে চুক্তিতে তালেবান
বিমানবন্দর পরিচালনায় আমিরাতের সঙ্গে চুক্তিতে তালেবান
আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিমানবন্দর পরিচালনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে তালেবান। তুরস্ক, আরব আমিরাত ও কাতারের সঙ্গে কয়েক মাসের আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আবদুল গনি বারাদার।
চুক্তি অনুযায়ী, আফগানিস্তানের হেরাত, কাবুল এবং কান্দাহার বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্ব পাচ্ছে আবুধাবিভিত্তিক কোম্পানি গাক সলিউশন। যদিও চুক্তির বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি সংযুক্ত আরব আমিরাত। খবর রয়টার্সের।
গত বছরের ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার মধ্যদিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান। দেশটি থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। বিদেশি সেনা চলে গেলেও দক্ষ জনবল ও অভিজ্ঞতা না থাকায় দেশটির বিমানবন্দরগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারছিল না তালেবান সরকার। সে সময় বিমানবন্দর পরিচালনা ও নিরাপত্তায় সহায়তা করতে অস্থায়ী কারিগরি দল পাঠায় কাতার ও তুরস্ক।
অবশেষে দেশটির বিমানবন্দরগুলো পরিচালনার জন্য স্থায়ীভাবে দায়িত্ব পাচ্ছে আবুধাবিভিত্তিক গাক সলিউশন। এ বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে তালেবান সরকার। মঙ্গলবার (২৪ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আবদুল গনি বারাদার জানান, তুরস্ক, আরব আমিরাত ও কাতারের সঙ্গে কয়েক মাসের আলোচনার পর আরব আমিরাতের সঙ্গে নতুন করে বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং চুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর আমরা আরব আমিরাতের সঙ্গে বিমানবন্দর নিয়ে চুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছি। তিনটি বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হবে তাদের। এরই মধ্যে চুক্তির শর্তগুলো চূড়ান্ত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে দুই দশক ধরে যুদ্ধ চালানো তালেবানের কাছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ইস্যু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, আফগান বিমানবন্দরে নিজেদের নিরাপত্তারক্ষী রাখতে চেয়েছিল কাতার। এই শর্তটি মূলত কাতারের সঙ্গে তালেবানের আলোচনায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
সে জন্যই এখন আরব আমিরাতের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে আফগান সরকার। যদিও তালেবানের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি আমিরাত কর্তৃপক্ষ। এমনকি চুক্তির মধ্যে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে কি না, সেটিও এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।