শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১
N2N Online TV
মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আইন আদালত | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » খালাস চেয়ে হাজী সেলিমের আপিল, জামিন আবেদন
প্রথম পাতা » আইন আদালত | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » খালাস চেয়ে হাজী সেলিমের আপিল, জামিন আবেদন
১৪৫ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

খালাস চেয়ে হাজী সেলিমের আপিল, জামিন আবেদন

---

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছর কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে আপিল আবেদনে তার জামিন প্রার্থনা করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ মে) সকালে হাজী সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২২ মে আদালতে নির্দেশে আত্মসমর্পণ করেন আওয়ামী লীগের এ সংসদ সদস্য। সেদিন জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছর কারাদণ্ড বহালের রায়ের নথি হাইকোর্ট থেকে গত ২৫ এপ্রিল নিম্ন আদালতে পাঠানো হয়। নিয়মানুযায়ী ২৫ এপ্রিল থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। সে অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই (২২ মে) আত্মসমর্পণ করেন হাজী সেলিম।

২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাজি মো. সেলিম হাইকোর্টের নির্দেশে গতকাল রোববার আত্মসমর্পণ করে জামিনের দরখাস্ত দাখিলপূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে জামিনের আবেদন করেন। পাশাপাশি কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদার জন্য এবং কারাগারের তত্ত্বাবধানে দেশের উন্নতমানের হাসপাতালে ‘বেটার ট্রিটমেন্ট’ আদেশের প্রার্থনা করেন।

আদালত জামিন বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী ও দুদক পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনেন। পরে আদালতের আদেশে বলা হয়, দাবি মতে দরখাস্তকারী আসামি একজন সংসদ সদস্য এবং ভালো চরিত্রের অধিকারী। তার সামাজিক মর্যাদা, আসামি যে অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তার ধরন ইত্যাদি বিবেচনায় তাকে জেলকোড অনুযায়ী ডিভিশন-১ দেওয়া কিংবা উন্নতমানের চিকিৎসা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হলো।

দুদকের করা অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের যে মামলায় হাজি সেলিমের সাজা হয়েছে, সেটি দায়ের করা হয়েছিল ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর, সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জরুরি অবস্থার মধ্যে। পরের বছর ২৭ এপ্রিল বিশেষ আদালত তাকে দুই ধারায় মোট ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন।

হাজি সেলিম ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি উচ্চ আদালত তার সাজা বাতিল করে রায় দেন। দুদক তখন সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করলে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

সেই শুনানি শেষে গত বছরের ৯ মার্চ হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি ধারায় হাজী সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখেন এবং অন্য ধারায় ৩ বছরের সাজা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন। ওই বেঞ্চের দুই বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী এবং একেএম জহিরুল হকের সইয়ের পর ৬৮ পৃষ্ঠার রায়ের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হাজি সেলিমকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।

হাজী সেলিমের সংসদ সদস্য পদ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান আগেই বলেছেন, সংবিধানের ৬৬(২-এর ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, যদি কেউ নৈতিক স্খলনের দায়ে ২ বছর বা তার বেশি সাজাপ্রাপ্ত হন, তবে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে অযোগ্য হবেন। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তিনি যেহেতু দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, তাই এটা তার নৈতিক স্খলন। সে কারণে সাংবিধানিকভাবে তিনি সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তার সংসদ সদস্য পদ বাদ হয়ে যাবে। তবে বিষয়টি স্পিকার সিদ্ধান্ত নেবেন। তাই হাইকোর্টের রায় পাওয়ার পর দুদকের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া হবে।’

হাজী সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজাও হাইকোর্টের রায়ের পরে বলেছিলেন, তারা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করবেন। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাউকে চূড়ান্তভাবে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। সুতরাং, তার সংসদ সদস্য পদে বহাল থাকতে কোনো বাধা নেই। কোনও সংসদ সদস্য গ্রেপ্তার, আটক বা কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে বা মুক্তি পেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী তা স্পিকারকে জানাতে হয়। স্পিকার জানার পর তিনি তা সংসদকে অবহিত করবেন।



আর্কাইভ