শনিবার, ২১ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » চীনকে মোকাবিলার পথ খুঁজতে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাইডেন!
চীনকে মোকাবিলার পথ খুঁজতে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাইডেন!
দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফরের দ্বিতীয় দিন শুরু হয়েছে সিউলে জাতীয় সমাধিস্থল পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে। এ সময় কালো স্যুট পরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেখানকার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
শনিবার (২১ মে) দুপুর দেড়টার দিকে জো বাইডেন সিউলের ইয়ংসান-গুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ৯০ মিনিটের বৈঠক শুরু হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইওন সুক-ইওল ব্যক্তিগতভাবে তাকে অভ্যর্থনা জানান। প্রবেশপথে দুই নেতা করমর্দন করে ভবনে প্রবেশ করেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান চলছে। আর প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি বাড়ছে। এদিকে বিশ্বজুড়ে চীনের প্রভাব আরও শক্তিশালী হচ্ছে। এসব মাথায় নিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই নেতার বৈঠকে জোরালো বার্তা আসতে পারে।
চীনের প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে বিকল্প পথ খুঁজছেন বাইডেন। মূলত এশিয়ায় মার্কিন মিত্রদের মনোবল চাঙা করতে ও নিরাপত্তা উদ্বেগ কমিয়ে আনতে বাইডেনের এ সফর।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে একবার দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সব বাণিজ্যিক চুক্তি বন্ধসহ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল চীন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্মেলনটি সিউলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পঞ্চম তলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে স্বল্পসংখ্যক সহযোগী অংশ নিয়েছেন। দুই নেতার মধ্যে একটি ব্যক্তিগত আলোচনা এবং শীর্ষ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কিম সুং-হান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্ক জিন বৈঠকে অংশ নেন। আমেরিকার পক্ষ থেকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এবং পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্কও উপস্থিত আছেন।
বৈঠক শেষ হওয়ার পর দুই নেতা ভবনটির নিচতলার মিলনায়তনে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন। বাইডেন ও তার দক্ষিণ কোরীয় প্রতিপক্ষ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের পথ বের করার চেষ্টা করবেন। পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ছলনায় উত্তর কোরিয়া প্রতিবেশী দেশে হামলা চালাতে পারে বলে তাদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের এক সিনিয়র কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, দুই নেতা পারমাণবিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক আলোচনার প্রস্তুতি নিয়েও তাদের কথা হবে।
তবে বাইডেন ও ইওল কীভাবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডেমোক্র্যাটদলীয় বাইডেন শপথ নেওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া থমকে আছে।
চীনকে বাদ রেখে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক কাঠামো চালু করতে চান বাইডেন। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে চীনকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।