বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » অভিবাসীদের মানবাধিকার সুরক্ষায় বিশ্বব্যাপী সংহতি গড়ে তোলার আহ্বান বাংলাদেশের
অভিবাসীদের মানবাধিকার সুরক্ষায় বিশ্বব্যাপী সংহতি গড়ে তোলার আহ্বান বাংলাদেশের
বাংলাদেশ অভিবাসীদের মানবাধিকার ও সুরক্ষার ঘাটতি মেটাতে বিশ্বব্যাপী সংহতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অভিবাসন পর্যালোচনা ফোরামের (আইএমআরএফ) গোলটেবিল বৈঠক-৪ এ গতকাল দেয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়।
গোলটেবিল বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এতে বৈশ্বিক অভিবাসন কমপ্যাক্ট-এর পাঁচটি বিষয় যথাক্রমে: উপাত্ত, তথ্যের বিধান, নাজুকতা হ্রাস, বৈষম্য দূরীকরণ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উপর দৃষ্টিপাত করা হয় ।
প্রতিমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে আটকেপড়া অভিবাসীসহ অভিবাসীদের অভিবাসন যাত্রার ঝুঁকি ও নাজুকতা হ্রাস করার লক্ষ্যে সরকার, মানবাধিকার সংস্থা, কনস্যুলেট ও জাতিসংঘ সংস্থাগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরো বেশি বৃদ্ধি করা এখন সময়ের দাবী। স্বাগতিক দেশ ও মাতৃভূমির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অভিবাসীদের ভূমিকার কথা এসময় তিনি তুলে ধরেন।
তিনি বৈশ্বিক অভিবাসন কম্প্যাক্ট ও এজেন্ডা ২০৩০ এর সমন্বয়মূলক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার উপর জোর দেন। এক্ষেত্রে অভিবাসনের সাথে যুক্ত সকল অংশীজন ও জাতিসংঘের অভিবাসন নেটওয়ার্ক এর প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান বর্ণবাদ, জাতিগত বিদ্বেষ, ভুল তথ্য উপস্থাপন, কলঙ্কলেপন ও অসহিষ্ণুতা ইত্যাদি বিষয়গুলোতে আরো গভীরভাবে দৃষ্টি দেয়ার উপর জোর দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। অন্তর্ভূক্তিমূলক মূল্যবোধ ও সহিষ্ণুতার প্রচার এগিয়ে নিতে এবং অভিবাসন ও অভিবাসীদের সম্পর্কে জনসাধারণের কাছে ইতিবাচক ধারণা তৈরি করতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সহযোগিতার পাশাপাশি আরো বেশি বৈশ্বিক সহযোগিতারও আহ্বান জানান তিনি।
ইতোপূর্বে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) এর মহাপরিচালকের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। বৈঠকে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে অভিবাসনের বিভিন্ন দিক ও সম্ভাব্য সহযোগিতার নানা বিষয় নিয়ে আলোকপাত করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অভিবাসন পর্যালোচনা ফোরাম (আইএমআরএফ)-এ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ফোরামটিতে যোগদান উপলক্ষ্যে আগত একাধিক সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতিনিধিদলের প্রধানদের সাথেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি। ২০২৩-২৫ মেয়াদে মানবাধিকার কাউন্সিল নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রার্থীতাসহ পারস্পরিক বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয় এসব বৈঠকে।
আন্তর্জাতিক অভিভাবসন বিষয়ক ‘অগ্রগতি ঘোষণা’র মধ্য দিয়ে আগামীকাল ২০ মে শেষ হবে চার দিনব্যাপী আইএমআরএফ এর এই সভা।
আইএমআরএফ-এর ‘অগ্রগতি ঘোষণা’ কো-ফ্যাসিলেটেড করার জন্য জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ও লুক্সেমবার্গের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত অলিভার মেইজকে মনোনয়ন প্রদান করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ শাহিদ।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত এবারের আইএমআরএফ-এ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যের মধ্যে রয়েছেন সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহাইল ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।