বুধবার, ১৮ মে ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » বিশেষায়িত ২২টি হাসপাতালসহ সরকারী হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা দেয়ার সুপারিশ
বিশেষায়িত ২২টি হাসপাতালসহ সরকারী হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা দেয়ার সুপারিশ
ঢাকা, ১৮ মে, ২০২২ : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় বিশেষায়িত ২২টি হাসপাতালসহ সরকারী হাসপাতালগুলোতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করার লক্ষ্যে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে আজ সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম এবং কাজী ফিরোজ রশীদ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় কমিটির ২৬তম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন-অগ্রগতি এবং রাজধানী সুপার মার্কেটের জমিতে প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া সভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত অব্যবহৃত প্রতিষ্ঠান, জমিসমূহের বিক্রির সর্বশেষ অগ্রগতি এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম সম্পর্কে তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশসমূহের বাস্তবায়ন-অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় উপস্থাপনকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বুকলেটের খসড়া প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ ১৫ দিনের মাঝে চূড়ান্ত করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি নিদর্শন সম্বলিত অপারেশন জ্যাকপট এর স্মৃতি, এম, ভি, ইকরাম সংরক্ষণ ও কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র নির্মান প্রকল্পে ধীরগতি লক্ষ্য করায় মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আগামী বৈঠকে কমিটির নিকট কারণ দর্শানোর সুপারিশ করা হয়। এছাড়া সভায় যথাযথ স্বাক্ষর, সিল ও তারিখবিহীন কাগজপত্র উপস্থাপন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
সভায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চলমান প্রকল্প দ্রুততম সময়ে শেষ করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের গৃহীত প্রকল্পের মত আরও বৃহদাকারে প্রকল্প গ্রহণ এবং মাদারীপুরে বধ্যভূমি প্রকল্পে কাজের ধীরগতির ফলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া ১ ডিসেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে অনুমোদন গ্রহণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটি সার-সংক্ষেপ পাঠানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।
সভায় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কাকরাইলস্থ ও রাজধানী সুপার মার্কেটের জমিতে প্রকল্প গ্রহণে কিভাবে অধিক লাভবান হওয়া যায় তা আলোচনা করা হয়।
সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানসহ মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।