বুধবার, ১৮ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » রাজীব গান্ধী হত্যায় দণ্ডিত আসামি ৩১ বছর পর মুক্ত
রাজীব গান্ধী হত্যায় দণ্ডিত আসামি ৩১ বছর পর মুক্ত
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি এজি পেরারিভালানকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার (১৮ মে) এই আদেশ দেওয়া হয়। ৩১ বছর জেল খাটার পর সুপ্রিম কোর্ট তাকে মুক্তি দিল।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ রায় নলিনী শ্রীহরণ ও তার স্বামী এবং শ্রীলঙ্কান নাগরিক মুরুগানসহ মামলার অন্য ছয় আসামির মুক্তির পথও প্রশস্ত করতে পারে।
রায়ের পরপরই পেরারিভালান বলেন, ‘সত্য ও ন্যায়বিচার আমাদের পক্ষে ছিল। জনগণের সমর্থন ও ভালোবাসা ছাড়া এটি সম্ভব ছিল না।’
১৯৯১ সালে যখন রাজীব গান্ধীকে হত্যা করা হয়, এজি পেরারিভালানের বয়স তখন মাত্র ১৯ বছর। অভিযোগ ছিল, লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলম (এলটিটিই) বা তামিল টাইগারের সদস্য শিভারাসনকে ৯ ভোল্টের দুটি ব্যাটারি জোগাড় করে দিয়েছিলেন পেরারিভালান। রাজীব গান্ধীকে হত্যার জন্য তৈরি বোমায় ওই ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছিল।
১৯৯৮ সালে এজি পেরারিভালানকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত। ২০১৪ সালে সেই সাজা লাঘব করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এরপর চলতি বছরের মার্চে পেরারিভালানকে জামিন দেন আদালত।
এর আগে ২০১৫ সালে ক্ষমা প্রার্থনা করে তামিলনাড়ু সরকারের কাছে পিটিশন দিয়েছিলেন পেরারিভালান। ভারতীয় সংবিধানের ১৬১ ধারা অনুযায়ী মুক্তি দাবি করেছিলেন তিনি। পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে ১৯৯১ সালের ২১ মে হত্যা করা হয়। দক্ষিণ ভারতে একটি নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
বহু বছর ধরে নির্জন কারাগারে ছিলেন পেরারিভালান। সেখানে খুব ভালো আচরণের রেকর্ড রয়েছে তার। দীর্ঘ কারাবাসের সময় অর্জন করেছেন বেশ কিছু শিক্ষাগত যোগ্যতাও। একটি বইও রচনা করেছেন এজি পেরারিভালান।