সোমবার, ১৬ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » কর্ণাটকে রাস্তায় আইনজীবীকে লাথি, এগিয়ে এলো না কেউ
কর্ণাটকে রাস্তায় আইনজীবীকে লাথি, এগিয়ে এলো না কেউ
এক নারীকে পরপর চড় মারলেন মাঝ রাস্তায়, শুধু তাই নয় লাথিও মারতে দেখা গেল ঔদ্ধত্য এক ব্যক্তিকে। সব দেখেও সাহায্য করতে বা প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি কাউকেই। ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। কর্ণটকের এমন ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খবর এনডিটিভি।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণের কর্ণাটক রাজ্যের বাগালকোট জেলার বিনায়ক নগরে। ওই নারী আইনজীবীর নাম সংগীতা। অভিযুক্তের নাম মহান্তেশ। অভিযুক্তকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, একটি সম্পত্তিগত মামলায় আইনজীবী সংগীতা তাকে খুব অসুবিধার মধ্যে ফেলেছিল এবং তার জন্য বহু হয়রানি হতে হয়েছে তাকে। সে জন্য হামলা করেছে সে।
শনিবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় হঠাত্ই আইনজীবী সঙ্গীতার ওপর চড়াও হন মহান্তেশ নামের ওই ব্যক্তি। আচমকা এসেই চড়, লাথি মারতে থাকেন তিনি। মহান্তেশের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন সঙ্গীতা। পেটে লাথি মারায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পুরো বিষয়টি ধরা পড়ে ক্যামেরার পর্দায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই। লোকালয়ে এমন ঘটনায় আশেপাশের মানুষের নিষ্প্রভভাব নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা। ভিডিওতে দেখা গেছে, সঙ্গীতা যখন মার খাচ্ছেন, তখন আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা জনতা নিশ্চুপ ছিলেন। তাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসেননি কেউই।
ভারতের জাতীয় অপরাধ ব্যুরো সর্বশেষ যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করে তাতে দেখা যাচ্ছে, নারী নির্যাতনের দিক থেকে শীর্ষে আছে পশ্চিমবঙ্গ। ভারতে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। দেশটির অপরাধের চিত্র সেই তথ্যই দিচ্ছে। তবে সার্বিক অপরাধের সংখ্যা আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। বেড়েছে শাস্তির হারও।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, পণ বা যৌতুকের জন্য হত্যা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার ঘটনা কমেছে। দণ্ডবিধি অনুসারে স্বীকৃত অপরাধ সবমিলিয়ে কমেছে দশমিক এক শতাংশ। তা সত্ত্বেও ভারতে প্রতিদিন গড়ে ৮০টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এবং ৯১টি ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।
নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। অন্য মহানগরের তুলনায় দিল্লিতে সব ধরনের অপরাধের সংখ্যা চারগুণ বেশি। ফলে দিল্লি এখনও দেশের অপরাধ-রাজধানী। তবে নারীদের বিরুদ্ধে অ্যাসিড হামলার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে। এরপরই রয়েছে উত্তর প্রদেশ। ২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গে ৩৬টি ও উত্তর প্রদেশে ৩২টি অ্যাসিড হামলা হয়েছে। তবে সবমিলিয়ে মহানগরগুলোর মধ্যে কলকাতাই সবথেকে নিরাপদ।
ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে পাওয়া ৩০ হাজার ৮৬৪টি অভিযোগের মধ্যে ১১ হাজার ১৩টি মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার সম্পর্কিত। আগের বছরের তুলনায় ২০২১ সালে নারীদের প্রতি অপরাধের অভিযোগ ৩০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২০ সালে অভিযোগ ছিল ২৩ হাজার ৭২২টি।