রবিবার, ১৫ মে ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ফরিদপুর | শিরোনাম » ফরিদপুরে ৪৮০০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ
ফরিদপুরে ৪৮০০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ
ফরিদপুরে গোডাউনে মজুত করা ৪ হাজার লিটার বোতলজাত ও ৮০০ লিটার খোলা সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় তেল গুদামজাত করার দায়ে ওই ব্যবসায়ীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়; একই সঙ্গে ১০ দিনের জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শহরের শরীয়তুল্লাহ বাজার ও শোভারামপুর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। পরে জব্দ করা তেল গায়ের দামে এলাকাবাসীর মধ্যে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটন ঢালী, জেলা ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ, জ্যেষ্ঠ জেলা বিপণন কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন ও জেলা স্যানিটারি পরিদর্শক বজলুর রশিদের তত্ত্বাবধানে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ীর নাম কানাইলাল পোদ্দার (৪৫)। তিনি ফরিদপুর শহরের রঘুনন্দনপুর হাউজিং এলাকার সুশীল পোদ্দারের ছেলে। শরীয়তুল্লা বাজারে সুবল স্টোর নামে তার একটি মুদি দোকান আছে। এ ছাড়া উপজেলার শোভারামপুর এলাকার কালীপদ সাহার বাড়ি ভাড়া নিয়ে তিনি সেটি গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করতেন।
অভিযানে অংশ নেওয়া জ্যেষ্ঠ জেলা বিপণন কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন বলেন, গোপন সংবাদে জানা যায়, শহরের শরীয়তুল্লা বাজার এলাকায় সুবল স্টোরে বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল মজুত রয়েছে। অভিযানে গিয়ে দোকানটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে জানা যায়, শহরের শোভারামপুর এলাকায় সুবল স্টোরের মালিক কানাইলাল পোদ্দারের গোডাউন আছে। ওই গোডাউনে অভিযান চালিয়ে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে মালিক কানাইলাল পোদ্দারকে ডেকে আনলে তিনি সয়াবিন তেল মজুতের কথা স্বীকার করেন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালীর উপস্থিতিতে গোডাউন খুলে এক লিটার, দুই লিটার, পাঁচ লিটার ও আট লিটার ওজনের বোতলজাত চার হাজার লিটার তেল উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাঁচটি ব্যারেলে ৮০০ লিটার খোলা তেলও জব্দ করা হয়।
পরে বোতলজাত তেল গায়ের মূল্যে পাঁচ লিটার ৭৬০ টাকা এবং আট লিটার ১ হাজার ২৫৬ টাকা দরে এলাকাবাসীর মধ্যে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
জেলা ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। পরে ওই ব্যবসায়ীকে ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার আইনের ৪০ ও ৪৫ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় দোকানটি ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।