শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » নিষেধাজ্ঞায় পশ্চিমারাই ক্ষতিগ্রস্ত, চাঙা রাশিয়া: পুতিন
নিষেধাজ্ঞায় পশ্চিমারাই ক্ষতিগ্রস্ত, চাঙা রাশিয়া: পুতিন
ইউক্রেনে অভিযান চালানো নিয়ে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ইউক্রেন সংকটে রাশিয়ার রুবলের মান এখন বেড়েছে বলে দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর পার্সটুডের
তিনি আরও বলেন, বহিরাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তার দেশ স্থিতিশীল রয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর ওপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) পুতিন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, পশ্চিমা সরকারগুলো অদূরদর্শী, স্থুল রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং রুশফোবিয়ায় পড়ে নিজস্ব জাতীয় স্বার্থে কঠিন আঘাতের মুখোমুখি হয়েছে।
পুতিন বলেন, আমরা ইউরোপে তীব্র মুদ্রাস্ফীতি দেখতে পাচ্ছি। কয়েকটি দেশে তা ২০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এটা স্পষ্ট যে নিষেধাজ্ঞার ধারাবাহিকতা অনিবার্যভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এর নাগরিকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে। রাশিয়া আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বাহ্যিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে।
গত মার্চ মাসে রাশিয়ার ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি ধীরে ধীরে কমিয়ে মুদ্রা হিসেবে রুবলকে শক্তিশালী করার প্রশংসা করেছেন পুতিন। ইউক্রেন সংকট শুরুর পর থেকে দেশটির মুদ্রা রুবল এখন সবচেয়ে শক্তিশালী; বরং যুদ্ধ শুরুর আগের চেয়েও রুবল শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
কঠোর পুঁজি নিয়ন্ত্রণ ও জ্বালানি রফতানির কারণে রুবল এখন দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পুতিন বলেন, রুবল সম্ভবত সমস্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রার মধ্যে সেরা গতিশীলতা দেখাচ্ছে।
এর আগে গত মার্চের দিকে এ মুদ্রার ভয়াবহ মূল্যপতনের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উল্লাস প্রকাশ করেছিলেন।
মার্চের প্রথম সপ্তাহে সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকলেও স্থানীয় মার্কেটে এখন পর্যন্ত মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুশ মুদ্রার মান ১১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
ব্লুমবার্গের উপাত্তের বরাতে বিজনেস ইনসাইডারের খবর বলছে, ৩১টি বড় মুদ্রার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সফল রুবল। মানের দিক থেকে ব্রাজিলের মুদ্রা রিয়েলকেও পিছিয়ে দিয়েছে রুশ মুদ্রা। চলতি বছরে রিয়েলের মান বেড়েছে ৯ শতাংশ।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পর অর্থনীতিকে ধরে রাখতে পুঁজির ওপর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ আরোপের পরেই রুবলের দামে ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়। এর অর্থ হচ্ছে, রাশিয়ায় কিছু বিনিয়োগকারী এবার লাভ তুলে নিতে পারবেন।
মস্কোর ওপর ব্যাপক পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পর দেশটির প্রাকৃতিক গ্যাস কিনতে হলে তার দাম রুবলে পরিশোধ করতে হবে বলে নির্দেশনা জারি করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রফতানিকারকদেরও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছে।