এবার রসুনের দাম বেড়ে দ্বিগুণ
তেল-পেঁয়াজের পরে এবার রসুনের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গত সপ্তাহেও যে রসুন বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকা। এ সপ্তাহে এসে তার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০-১০০ টাকা।
শুক্রবার (১৩ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা দেশি রসুনের কেজি বিক্রি করছেন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেই ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কয়েকদিন আগে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আমদানি করা রসুনের দাম বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মধ্য বাড্ডা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, পাইকারি বাজারে রসুনের দাম বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহ আগে যে রসুন কিনেছিলাম ৪০ টাকায়। আজকে বাজারে গিয়ে ৮০ টাকা দরে রসুন কিনে নিয়ে আসতে হয়েছে।
আরেক ব্যবসায়ী আলামিন মাওলা বলেন, সরবরাহ কমে আসায় রসুনের দাম বেড়ে গেছে। তেলের দাম কমে আসায় দোকানে তেল রাখা বন্ধ করে দিয়েছি। আজকে দেখি রসুনের দাম বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহেও ভারতীয় রসুন কেজিপ্রতি বিক্রি করেছিলাম ১১০ টাকা। এখন সেটি ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
কেবল রসুন নয়, বেড়েছে পেঁয়াজ-আদার দামও। আগে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হতো ৩০ টাকা দরে। এখন কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০-৪২ টাকা। একই অবস্থা ভারতীয় পেঁয়াজে। ২৮ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি হওয়া ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
এদিকে কয়েকদিন আগেও চায়না আদার দাম ছিল ৯০-৯৫ টাকা। এখন সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ টাকা। বার্মিজ আদার দাম ছিল ৬০ টাকা। এখন কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০-৯০ টাকা।
বাজার করতে আসা একজন মধ্যবয়স্ক ক্রেতা হামিদুর রহমান বলেন, তেলের দাম বেড়ে গেছে। বেড়ে গেছে পেঁয়াজ-রসুন-আদার দামও। এভাবে চলতে থাকলে কীভাবে হবে। আমরা দিশেহারা হয়ে যাচ্ছি।
এদিকে ঈদের আগে ৭০০ টাকা কেজিতে ওঠা গরুর মাংসের দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা বিক্রি করছেন। তবে মহল্লার সাপ্তাহিক ব্যবসায়ীরা গরুর মাংসের কেজি বিক্রি করছেন ৭২০ টাকা কেজি।
গরুর মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হলেও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। ঈদের আগে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মুরগির দাম কমে এখন ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে সোনালি মুরগির কেজি আগের মতোই ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।