বুধবার, ১১ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আইন আদালত | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » সব মামলায় সম্রাটের জামিন, বাধা নেই মুক্তিতে
সব মামলায় সম্রাটের জামিন, বাধা নেই মুক্তিতে
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় জামিন পেয়েছেন যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। বুধবার (১১ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৬ এর বিচারক আল আসাদ এ আদেশ দেন।
অন্য মামলাগুলোতে আগেই জামিন পান তিনি। আজকের মামলায় জামিনের মধ্য দিয়ে সব মামলায় জামিন মিলল সম্রাটের। ফলে কারামুক্তিতে তার আর বাধা রইল না।
আজ এ মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। সম্রাটের আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। এ ছাড়া সম্রাটের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদক আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন।
আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তিন শর্তে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ৯ জুন পর্যন্ত সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।
শর্তগুলো হলো- আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগ করতে পারবে না সম্রাট, পার্সপোর্ট জমা দিতে হবে এবং স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার প্রতিবেদন আগামী ধার্য তারিখে জমা দিতে হবে।
সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে করা চার মামলার মধ্যে ইতোমধ্যে তিন মামলার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া ছয় মাসের সাজা অনেক আগেই শেষ হয়েছে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় আজ জামিন পেয়েছেন সম্রাট। তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় মুক্তিতে বাধা নেই।
এদিকে রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেখায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ১০ এপ্রিল অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদেরও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ জামিন মঞ্জুর করেন।
দুদকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়।
পরে বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেওয়া হয়।