শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১
N2N Online TV
মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করতে বাধ্য হয়েছি: পুতিন
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করতে বাধ্য হয়েছি: পুতিন
১৯০ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করতে বাধ্য হয়েছি: পুতিন

---

ইউক্রেন ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো হুমকি সৃষ্টি করায় রাশিয়া বাধ্য হয়েই ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার (৯ মে) মস্কোর রেড স্কয়ারে রাশিয়ার ৭৭তম বিজয় দিবসের প্যারেড অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রাষ্ট্রীয় আচারের মধ্য দিয়ে শুরু হয় রাশিয়ার ৭৭তম বিজয় দিবসের সামরিক কুচকাওয়াজ। ঐতিহ্যবাহী সমরাস্ত্র টি-৩৪ মডেলের ট্যাংক প্রদর্শন করা হয় প্যারেডে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে এই ট্যাংক ব্যবহার করে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনা বহর। ছিল সে সময়ের পতাকাও।

সামরিক প্যারেডে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র, সামরিক যান, ড্রোন ও ট্যাংকের মতো সব সমরাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বাতিল করা হয় বিমানবাহিনীর প্রদর্শনী।

অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় শুরুতেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনা সদস্যদের স্মরণ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরই তার বক্তব্য উঠে আসে ইউক্রেন প্রসঙ্গ। বলেন, রাশিয়ার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থেই ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাতে বাধ্য হয়েছে রাশিয়া।

পুতিন বলেন, ক্রিমিয়াসহ আমাদের দেশে অভিযানের প্রস্তুতি ছিল পশ্চিমাদের। আমরা বারবার নিরাপত্তার কথা জানিয়েছি। কিন্তু তারা শুনতে চায়নি। ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে যারা লড়াই করছে তারা তাদের মাতৃভূমির জন্য লড়াই করছে। আমাদের সেনারা যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের জন্য আমরা ব্যথিত।

পুতিনের বক্তব্যের পরপরই রুশ সেনারা জোরালো কণ্ঠে তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। নানা কারণেই রামিয়ার এবারের বিজয় দিবস ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। গেল কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জন ছিল যে এবারের বিজয় দিবসের প্যারেডেই ইউক্রেনে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধের ঘোষণা দেবেন পুতিন। যদিও সোমবারের (৯ মে) বক্তব্য এমন কিছু বলতে শোনা যায়নি পুতিনকে।

১৯৪৫ সালে ৯ মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাৎসি বাহিনীর আত্মসমর্পণের দিনটিকে নিজেদের বিজয় দিবস হিসেবে উদ্‌যাপন করে আসছে রাশিয়া।



আর্কাইভ