শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১
N2N Online TV
শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » লেবাননে নতুন সরকার
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » লেবাননে নতুন সরকার
১৪২ বার পঠিত
শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

লেবাননে নতুন সরকার

---

সংকট পীড়িত লেবাননে নতুন সরকারের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। শুক্রবার ১৩ মাস পর দেশটিতে নতুন সরকার ঘোষিত হয়েছে।
লেবাননে তৃতীয় বারের মতো প্রধান মন্ত্রী হয়েছেন ধনকুবের নাজিব মিকাতি। তিনি এবং প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন পার্লামেন্ট স্পিকার নাবিহ বেরির উপস্থিতিতে নতুন সরকার গঠনের আদেশে স্বাক্ষর করেন।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
দেশটিতে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনো সরকার ছিল না। তীব্র অর্থনৈতিক মন্দায় রয়েছে দেশটি। এ প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা পেতে একটি নতুন মন্ত্রিসভার খুবই দরকার ছিল। তবে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্যে মন্ত্রিসভার সক্ষমতা দেখার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেন, পরিস্থিতি খুবই কঠিন। তবে নিত্য দিনের প্রয়োজনিয়তা মেটানো নিশ্চিত করতে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানাতে আমরা প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাবো। আর আমরা যদি লেবানিজ হিসেবে একত্রিত হই, তাহলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। আমাদের হাতগুলো একসঙ্গে করতে হবে। আমরা সবাই আশা এবং দৃঢ়তার সাথে একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি।
এর আগে কারা মন্ত্রিসভায় থাকছেন, সেটির একটি চূড়ান্ত তালিকা প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনকে দেখান স্পিকার নাবিহ বেরি। এর পরই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রেসিডেন্ট ভবনে যান তিনি। পরে সংবাদ সম্মেলনে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়।
লেবাননের পূর্ববর্তী সরকারের মতো, এই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদেও নতুনদের নিয়ে আসা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা ইউসুফ খলিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফিরাস আবিদকে। তিনি দেশটির সরকার পরিচালিত রফিক হারিরি বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ। করোনা মহামারি মোকাবিলায় কাজ করে তিনি ব্যাপক আলোচনায় আসেন।
নতুন সরকারকে ব্যাপক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুবই নাজুক। ব্যাংকগুলো দেউলিয়া পর্যায়ে রয়েছে। বিদ্যুৎ পরিস্থিতিও খুবই নাজুক। দেশটির লোকজনকে মাত্র কয়েক ঘন্টার জন্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচেছ।
এছাড়া নতুন সরকারকে সময় মতো পার্লামেন্ট নির্বাচনও আয়োজন করতে হবে। আগামী বছর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে অর্থনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত লেবাননের পরিস্থিতি চাঙ্গা করতে আন্তর্জাতিক সহায়তা ভিন্ন কোন উপায় নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে আশংকার বিষয় পশ্চিমা দেশসমূহ সম্প্রতি লেবাননের বিষয়ে তাদের ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংস্কার কাজ দ্রুত করতে নতুন সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি যথেষ্ট নয়। এখনও সমাধানের অনেক বিষয় রয়ে গেছে ।



আর্কাইভ