রবিবার, ৮ মে ২০২২
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ১১০ টাকা লিটারে সয়াবিন তেল পাবে এক কোটি পরিবার
১১০ টাকা লিটারে সয়াবিন তেল পাবে এক কোটি পরিবার
প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে এক কোটি পরিবারের কাছে সয়াবিন তেল বিক্রি করবে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আগামী জুন থেকে ন্যায্যমূল্যে এ তেল কিনতে পারবেন টিসিবি কার্ডধারীরা।
শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ তথ্য জানান।
সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসকে বাণিজ্য সচিব বলেন, আগামী জুন থেকে আমরা এক কোটি কার্ডধারী পরিবারের কাছে একই দামে সয়াবিন তেল বিক্রয় করব। সরকার টিসিবির মাধ্যমে সরাসরি সয়াবিন তেল আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যেই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সয়াবিন তেল ক্রয়ের জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্ব বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে সরকার দেশবাসীকে সর্বনিম্ন মূল্যে এই তেল সরবরাহ নিশ্চিতের চেষ্টা করছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকা, যা এতদিন ১৪০ টাকা ছিল। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা করা হয়েছে। ৫ লিটারের বোতলের দাম ৭৬০ টাকা থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৮৫ টাকায়। নতুন এ দাম শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
এ নিয়ে গত ৪ মাসে তৃতীয়বারের মতো ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হলো। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত চার বছরে যেসব ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে তার মধ্যে অন্যতম সয়াবিন ও পাম অয়েল। ২০১৯ সালে দেশের বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ছিল ১০৪ টাকা। ২০২০ সালে সেটি বেড়ে হয় ১১৩ টাকা, ২০২১ সালে ১৩০ টকা এবং ২০২২ সালের শুরুতে এসে হয় ১৬৮ থেকে ১৭০ টাকা। এখন ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা।
পামওয়েলের লিটার (খোলা) ২০১৯ সালে ছিল ৫৮ টাকা, ২০২০ সালে লিটারে ৭৮ টাকা, ২০২১ সালে ১০৭ টাকা এবং ২০২২ সালের শুরুতে হয় ১৫০ টাকা। এখন ১৬৫ টাকা।