সোমবার, ২ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক ভাঙতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক ভাঙতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক ভাঙতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, রাশিয়া থেকে তেল ও অস্ত্র কেনার কারণে ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না ওয়াশিংটন। তবে তার দেশ চায়, মস্কো থেকে স্বেচ্ছায় মুখ ফিরিয়ে নিক নয়াদিল্লি। চলতি সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসে একাধিক শুনানিতে রাশিয়া-ভারতের সম্পর্ক নিয়ে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমপক্ষে দুটি ইস্যুতে বিপরীত অবস্থান নিয়েছে ভারত। প্রথমত, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জন্য জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল তারা।
দ্বিতীয়ত, রাশিয়ার তেল ও অস্ত্রের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মস্কো থেকে দুটি জিনিসই আমদানি অব্যাহত রেখেছে। এজন্য চাইলেই নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে ওয়াশিংটন। মার্কিন আইনপ্রণেতাদের পক্ষ থেকেও এমন দাবি জোরালো হচ্ছে।
কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। বরং মার্কিন সরকারের প্রতিনিধিরা ঘন ঘন ভারত সফরে আসছেন এবং ভারতকে রাশিয়ার সঙ্গে স্বেচ্ছায় যোগাযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনুৎসাহিত করার চেষ্টা করছেন।
কংগ্রেসের শুনানিতে ব্লিংকেন বলেন, ‘আমরা যেটা করতে পারি, সেটা হচ্ছে, বিভিন্ন দেশ যাতে স্বেচ্ছায় (রাশিয়ার সঙ্গে) সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসে সেই চেষ্টা করা। আমাদের কূটনীতির প্রধান ফোকাসই সেই জায়গায়।’
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান সত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে অব্যাহতভাবে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। এজন্য ওই শুনানিতে ভারতকে আরও চাপ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের প্রতি আহ্বান জানান ডেমোক্র্যাট দলের সিনেটররা।
সিনেট কমিটি অন ফরেন রিলেশন্সের প্রধান সিনেটর বব মেনেন্ডেজ ভারতের ব্যাপারে বলেন, তারা রাশিয়া থেকে তেল কিনছে। এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনছে। তারা রাশিয়ার সমালোচনায় জাতিসংঘের ভোটদানে বিরত ছিল। কিন্তু একই সঙ্গে তারা কোয়াডের সদস্যও। ফলে কিছু সময় আমরা বিশ্বের কাছে যে বার্তা দিচ্ছি তা অসঙ্গত। যখন বলি আমরা বিরক্ত, হতাশাগ্রস্ত, তখন এই অসঙ্গতি কাটে না।’
সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন বলেন, কেন আমরা সেসব দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি না … যেসব দেশ রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানি বাড়াচ্ছে? তিনি আরো বলেছেন, এমন কয়েকটি দেশ আছে, যারা রাশিয়ার তেলের মূল্য ছাড় দেওয়ার সুবিধা নিচ্ছে। আর তা শুধু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকেই সহায়তা করছে। এই অস্বস্তি যে বাস্তবিক স্বীকার করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সিনেট অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস সাবকমিটিতে আরেক শুনানিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লংকেন বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কয়েক দশকের পুরনো। ভারতের জন্য রাশিয়া একটি অত্যাবশ্যক অংশীদার। যখন আমরা ভাবছি তাদের এই অংশীদার হওয়া উচিত নয়। আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বর্ধনশীল কৌশলগত সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবশ্যই এক্ষেত্রে চীন একটি বড় অংশ।’