রবিবার, ১ মে ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » ঈদগাহে ছাতা ও জায়নামাজ ছাড়া অন্যকিছু আনতে মানা
ঈদগাহে ছাতা ও জায়নামাজ ছাড়া অন্যকিছু আনতে মানা
রমজান মাস একেবারে শেষের পথে। আর মাত্র একদিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। করোনার দু’বছর পর এবার অনেকটা স্বস্তিতে ঈদের নামাজ পড়তে পারবেন মুসল্লিরা। সে লক্ষ্যে জাতীয় ঈদগাহসহ দেশের প্রধান প্রধান ঈদগাহ প্রস্তুত করা হয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিশ্চিত করা হয়েছে নিরাপত্তা।
তবে রাজধানী হিসেবে নিরাপত্তা একটু বেশি থাকবে জাতীয় ঈদগাহে। তাই রোববার (১ মে) শেষ মুহূর্তের নিরাপত্তাসহ সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
এ সময় নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঈদগাহে জামাতে ছাতা ও জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে না আসতে অনুরোধ করেছেন তিনি। যদিও জঙ্গি হামলার কোনো শঙ্কা নেই বলেও তিনি জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদ জামাতে আসা মুসল্লিরা জায়নামাজ ও ছাতা সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন। এর বাইরে কোনো কিছু সঙ্গে নিয়ে আসতে নিষেধ করছি আমরা। এ ছাড়াও প্রত্যেকের তল্লাশির মধ্য দিয়ে আর্চওয়ে গেট দিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে। কারো সঙ্গে ব্যাগ থাকলে ব্যাগও তল্লাশি করা হবে।
এ ছাড়া চারস্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও জানান মোহা. শফিকুল ইসলাম।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এবারের ঈদে ঢাকায় ছোট বড় ঈদগাহ এবং মসজিদ মিলে মোট ১ হাজার ৪৬৮টি স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সবকটিতেই নিরাপত্তা দেবে ডিএমপি। এ ছাড়া জাতীয় ঈদগাহে জামাতের আগে সুইপিং করবে বোমা ডিস্পোজাল ইউনিট, চারপাশে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করবে ডিএমপির টিম।
তল্লাশি করতে সময় লাগার কারণে ঈদগাহের জামাতে মুসল্লিদের নির্ধারিত সময়ের আগে আসার অনুরোধ করেন ডিএমপি কমিশনার। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঈদের প্রধান জামাত বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হলে সেখানেও একই ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ঈদের জামাতে কোনো জঙ্গি হামলার হুমকি আছে কি না- সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ঈদ জামাতে জঙ্গি হামলার কোনো হুমকি নেই।