শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
N2N Online TV
বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ধর্মীয় স্বাধীনতার উল্লেখযোগ্য অবনতি ভারতে : যুক্তরাষ্ট্র
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ধর্মীয় স্বাধীনতার উল্লেখযোগ্য অবনতি ভারতে : যুক্তরাষ্ট্র
৩৪৭ বার পঠিত
বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ধর্মীয় স্বাধীনতার উল্লেখযোগ্য অবনতি ভারতে : যুক্তরাষ্ট্র

---

বৈশ্বিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন কমিশন সোমবার বলেছে, ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপি সরকারের অধীনে ধর্মীয় স্বাধীনতার উল্লেখযোগ্য অবনতি হয়েছে। কমিশনটি ভারতে ধর্মীয় ক্ষেত্রে অন্যায়ের জন্য আবারও সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করেছে। এটি নিয়ে টানা তৃতীয় বছর যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশন ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’-এর তালিকায় রাখার সুপারিশ করেছে। এ সুপারিশ নয়াদিল্লিকে ক্ষুব্ধ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর নিশ্চিতভাবেই কমিশনের প্রস্তাব নাকচ করে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। বার্ষিক প্রতিবেদনে প্যানেলটি দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এটি কালো তালিকায় পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্তিকে সমর্থন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশনের কাজ সুপারিশ করা। এটি মার্কিন সরকারের নীতি নির্ধারণ করে না। কমিশন ২০২১ সালে ভারতে বিশেষ করে মুসলিম ও খ্রিস্টান সংখ্যালঘুদের ওপর ‘বহু’ হামলার কথা উল্লেখ করেছে। এতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের ‘একটি হিন্দু রাষ্ট্রের আদর্শিক দূরকল্পকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টার’ কথা বলা হয়েছে। অতীতে ভারত সরকার মার্কিন কমিশনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করে এর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে। এর আগে হিজাব বিতর্ক নিয়ে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই থেকে শুরু করে ফরাসি তারকা ফুটবলার পল পোগবা- সকলেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তবে এর আগে ২০২০ এবং ২০২১ সালেও একই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেন উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই দাবি। তবে এর আগেও হিজাব বিতর্কে মার্কিন সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারত। তখন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে করা বার্তা দেয়া হয়েছিল আমেরিকার উদ্দেশ্যে। বলা হয়, হিজাব বিতর্ক একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেখানে বিদেশের উসকানি মূলক মন্তব্য মেনে নেয়া হবে না। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২২ সালেও এই রিপোর্ট গ্রাহ্য করবে না বাইডেন প্রশাসন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতকে পাশে চেয়ে বারবার বার্তা দেয়া হয়েছে আমেরিকার পক্ষ থেকে। কিছুদিন আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দেয়া হয়েছে আমেরিকার পক্ষ থেকে। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতকে চটাবে না আমেরিকা, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এএফপি,সংবাদ প্রতিদিন।



আর্কাইভ