শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
N2N Online TV
রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » এবার জাতিসংঘ মহাসচিবের ওপর খেপলেন জেলেনস্কি
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » এবার জাতিসংঘ মহাসচিবের ওপর খেপলেন জেলেনস্কি
৩৮৭ বার পঠিত
রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

এবার জাতিসংঘ মহাসচিবের ওপর খেপলেন জেলেনস্কি

---

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে করণীয় নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) মস্কো সফরের কথা রয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের। এরপর একই ইস্যুতে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার কিয়েভে যাওয়ার কথা রয়েছে তার। কিন্তু কিয়েভের আগে গুতেরেসের মস্কো সফরের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউক্রেনের আগে রাশিয়ায় যাওয়া জাতিসংঘ মহাসচিবের জন্য ভুল সিদ্ধান্ত। এখানে কোনো ন্যায়বিচার এবং কোনো যুক্তি নেই।’

জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে। মস্কোর রাস্তায় কোনো লাশ নেই। মানুষের দুর্ভোগ, রাশিয়ার দখলদারত্বের পরিণতি দেখতে প্রথমে ইউক্রেনে আসাই যৌক্তিক হবে।’

এ সময় ‘যুদ্ধ শেষ করার’ প্রচেষ্টায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগ্রহও প্রকাশ করেন জেলেনস্কি। তবে কী ধরনের ঘটনা কিয়েভকে মস্কোর সঙ্গে শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে বাধ্য করতে পারে, তা-ও প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের মধ্যে স্থানীয় সময় শনিবার (২৩ এপ্রিল) কিয়েভের একটি মেট্রোস্টেশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কিয়েভ কীভাবে রাশিয়ান বাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে সম্ভাব্য স্বাধীনতা গণভোটের প্রতিক্রিয়া জানাবে।

এর জবাবে জেলেনস্কি বলেন, ‘মারিউপোলে আমাদের জনগণের ওপর যদি হামলা চালানো হয়, ইউক্রেনের কোনো অঞ্চলে যদি ছদ্ম-গণভোট আয়োজন করা হয় তাহলে ইউক্রেন যে কোনো আলোচনা প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করবে।’ খবর আরটির।

এদিকে রাশিয়ার সামরিক অভিযান ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি করার সক্ষমতায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে উল্লেখ করে, ‘দৃষ্টিভঙ্গি’ পরিবর্তন করে এশিয়ার দেশগুলোকে কিয়েভের পাশে থাকার আহ্বান জানান ভলোদিমির জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে সামরিক অভিযান বন্ধ করে সম্প্রতি সেখান থেকে পিছু হটেছে রুশ প্রেসিডেন্টের বাহিনী। এরপর নতুন করে অভিযান শুরুর সময় যে লক্ষ্যের কথা তারা জানিয়েছিল, সেখান থেকে আরও সুদূরপ্রসারী ভাবনা নিয়ে রাশিয়া এই যুদ্ধে নেমেছে বলে স্বীকার করেছেন রাশিয়ার সেন্ট্রাল মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের উপকমান্ডার রুসতাম মিনিকায়েভ।

তিনি বলেন, পুরো পূর্বাঞ্চলীয় দোনবাস অঞ্চল দখল করতে চায় রাশিয়া। এরপর ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। শুধু তা-ই নয়, রাশিয়ার অধিকৃত মলদোভা, দক্ষিণাঞ্চলীয় পুরো বিদ্রোহী অঞ্চলকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে চায় মস্কো।

এর অর্থ দাঁড়াবে, ইউক্রেনের দুই বড় শহর মিকোলাইভ ও ওডেসাকে ছাড়িয়ে রুশ বাহিনী আরও কয়েকশ মাইল ভেতরে প্রবেশ করতে চায়। এসব অঞ্চলকে তারা স্থায়ীভাবে রাশিয়ার আয়ত্তে নিয়ে যাবে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে।



আর্কাইভ