শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম | স্বাস্থ্য » প্রতি বছর করোনা টিকা নিতে হবে কি না, নিশ্চিত নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রতি বছর করোনা টিকা নিতে হবে কি না, নিশ্চিত নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রতি বছর করোনাপ্রতিরোধী টিকা নিতে হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এ বিষয়টি এখনো জানায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে করোনাসহ সব ধরনের টিকা যাতে দেশেই তৈরি করা যায় আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর তিতুমীর কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাসহ সব ধরনের টিকা যাতে দেশেই তৈরি হয় সে জন্য টিকা উৎপাদনের চেষ্টা চলছে। প্রতি বছর করোনার টিকা দিতে হলে ১৩ কোটি মানুষের জন্য ১৩ কোটি টিকা লাগবে। প্রতি বছর টিকা দেওয়ার ব্যাপারে এখনো কিছু বলেনি ডব্লিউএইচও। তবে দ্রুত যাতে টিকা উৎপাদন করা যায় সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় জানান, অতিমারিকালীন আমরা একদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছি, অন্যদিকে প্রতি বছরই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর যাতে শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য কাজ করেছি। আজকের পরীক্ষাটিও সুশৃঙ্খলভাবে নেওয়াসহ পরীক্ষায় কোনোরকম অনিয়ম যাতে না হয় সে জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে এ বছর প্রশ্নপত্র বিতরণ হয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। আগামীতে পরীক্ষার মান আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে এখন থেকেই কাজ শুরু করা হয়েছে।
এ ছাড়া মে মাসের কলেরার টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলেরা-ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি, সেসব এলাকায় টিকা দেওয়া হবে। টিকা কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে বলেও গণমাধ্যমকর্মীদের জানান মন্ত্রী। করোনার সময় কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিকভাবেই ফিরছে সবকিছু। যারা এখনো টিকা নেয়নি তাদের সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এবার বিডিএস পরীক্ষায় দিচ্ছে ৬৫ হাজার ৯০৭ জন শিক্ষার্থী। ১২টি কেন্দ্রের ২৬টি ভেন্যুতে পরীক্ষায় হচ্ছে। প্রায় ৩০ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। সরকারি ও বেসরকারি ডেন্টাল কলেজে ১ হাজার ৯৫০টি আসন রয়েছে। সরকারি ডেন্টাল কলেজে আসন সংখ্যা ৫৪৫টি আর বেসরকারি ডেন্টাল কলেজে আসন সংখ্যা ১ হাজার ৪০৫টি। সরকারি-বেসরকারি মিলে গড়ে ৩৩ জন পরীক্ষা দিচ্ছে।