মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » কলকাতাকে কাঁদিয়ে জয়োল্লাস মুস্তাফিজের সাবেক দলের
কলকাতাকে কাঁদিয়ে জয়োল্লাস মুস্তাফিজের সাবেক দলের
আইপিএলের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন বললেও হয়তো কম বলা হবে। ২০ ওভারের ক্রিকেটে এরচেয়ে বড় রোমাঞ্চ আর কী হতে পারতো। জস বাটলারের অনবদ্য সেঞ্চুরি, যুজবেন্দ্র চাহালের হ্যাটট্রিক। ম্যাচটাও দুলছিল নৌকার মতো। একবার কলকাতার দিকে তো আরেকবার রাজস্থানের দিকে। তবে শেষ হাসি রাজস্থানেরই। ৭ রানের জয় পেয়েছে তারা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জস বাটলারের ব্যাটিং তাণ্ডবে ২১৭ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় মুস্তাফিজের সাবেক ক্লাব রাজস্থান রয়্যালস। ব্যাটিং পিচ হলেও এমন টার্গেট তাড়া করতে নেমে জিততে পারবে এমন বাজি ধরবে কে? তার ওপর রানপাহাড় তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট খোয়ায় কলকাতা নাইট রাইডার্স।
২১৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন কলকাতার উদ্বোধনী ব্যাটার সুনীল নারিন। বলতে গেলে ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গেল নিতে গিয়ে নিজের উইকেটটাই আত্মাহুতি দিয়ে আসলেন ক্যারিবিয়ান এই তারকা অলরাউন্ডার।
তবে এরপরের গল্পটা কলকাতার জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের ৮৫ এবং অ্যারন ফিঞ্চের ৫৮ রানে ভর করে জয়ের দ্বারপ্রান্তেই চলে গিয়েছিল কেকেআর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাহালের হ্যাটট্রিকে কলকাতার স্বপ্ন দুমড়েমুচড়ে যায় যেন।
তবে শেষদিকে কলকাতার উমেশ যাদব দুই ছক্কা ও এক চারের মারে আবারও স্বপ্ন দেখায়। শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৮ রান। হাতে তখনো দুই উইকেট। আশা দেখাচ্ছিলেন যাদব। কিন্তু ম্যাককয়ের করা ২০তম ওভারে অলআউট হয়ে যায় কলকাতা।
এর আগে মুম্বাইয়ের পর কলকাতার বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করে বাটলার নিজের নাম লিখিয়েছেন এক আসরে একাধিক সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটারদের তালিকায়, যেখানে তার সঙ্গী ক্রিস গেইল, বিরাট কোহলি ও শেন ওয়াটসনরা।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মুম্বাইয়ের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ৬১ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছেন বাটলার। ৫ ছক্কা ও ৯ চারের পসরা সাজানো ছিল ইনিংসটিতে। চলতি আইপিএলে এটি বাটলারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে এর আগে তিনি খেলেছিলেন ঠিক ১০০ রানের ইনিংস। আইপিএলে এক আসরে একাধিক সেঞ্চুরি করা ষষ্ঠ ক্রিকেটার হলেন বাটলার। আইপিএলে সবশেষ সাত ইনিংসে ৩ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটি হাঁকিয়েছেন এ মারকুটে ব্যাটার।