সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মাটিতে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ!
অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মাটিতে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ!
আইসিসির নতুন ফিউচার ট্যুর (এফটিপি) বাংলাদেশের জন্য নিয়ে আসছে দারুণ সুযোগ। ২০২৩ সাল থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত নতুন এফটিপিতে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ থাকছে প্রায় ২০০ ম্যাচ। তিন ফরম্যাট মিলে এই ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। এছাড়াও আইসিসির বিভিন্ন ইভেন্টে আরও কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। এবারের এফটিপিতে বাংলাদেশের জন্য থাকতে পারে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলার সুযোগ। এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি।
আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে থাকে দলগুলোর ভবিষ্যৎ খেলার সূচি। নির্দিষ্ট সময়ে একটা দল কতগুলো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে তা উল্লেখ থাকে এই এফটিপিতে। বর্তমানে যে এফটিপি চলছে তা শুরু হয়েছে ২০১৮ সালে। সে হিসেবে এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৩ সালে।
অতীতের তুলনায় এই এফটিপিতে বাংলাদেশের ম্যাচ সংখ্যা বাড়লেও বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলার সুযোগ সীমিতই ছিল। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন থেকে অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এফটিপিতে থাকে না পর্যাপ্ত টেস্ট ম্যাচও।
তবে নতুন এফটিপিতে বাংলাদেশ পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ খেলার সুযোগ, জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। এর বাহিরে ২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের হোম সিরিজ আয়োজনে প্রয়োজনীয় আলোচনাও এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৭ এপ্রিল) জালাল ইউনুস এফটিপি বিষয়ে কথা বলেন গণমাধ্যমের সামনে। এ সময়ে তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের সঙ্গে এখনো কথা হচ্ছে। নিশ্চিত হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি ইংল্যান্ডে গিয়ে একটা সিরিজ খেলতে। আমরা আশা করছি ওদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাব। অস্ট্রেলিয়ায় ২০২৭ সালে দুটো টেস্ট খেলতে যাবে বাংলাদেশ। এখনো নিশ্চিত হয়নি। ২০২৬ সালে ওরা আসবে। অস্ট্রেলিয়া আছে, ইংল্যান্ড আছে, সাউথ আফ্রিকা আছে, তাদের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তো আছেই। কিছু কিছু সিরিজ মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে, পরে আপনারা জানতে পারবেন।’
পূর্ণাঙ্গ এফটিপি এখনও প্রস্তুত না হলেও জালাল ইউনুস বলছেন নতুন এফটিপিতে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ টেস্টসহ বাকি ম্যাচের সংখ্যা বাড়বে। তার হিসেবে নতুন এফটিপি অনুযায়ী বাংলাদেশ আগামী পাঁচ বছরে খেলবে ৪০টির মতো টেস্ট। ওয়ানডে ম্যাচ থাকছে ৭০টি। এছাড়াও বাংলাদেশ এই এফটিপি অনুযায়ী খেলবে ৭৬+ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এর বাহিরে আইসিসির বিভিন্ন ইভেন্ট ও ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচ তো থাকছেই।
এ প্রসঙ্গে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আলাপ আলোচনা করে যেগুলো চূড়ান্ত করেছি এর মধ্যে ৪০+ টেস্ট , ৭০+ ওডিআই, ৭৬+ আছে টি-টোয়েন্টি। এখান থেকে কিছু বদল হতে পারে। এইগুলো আইসিসির ইভেন্টের বাইরে। এরপর তো আইসিসি ইভেন্ট আছেই। এরমধ্যে ট্রাইনেশন সিরিজও খেলতে পারি।’
নতুন এফটিপি বাংলাদেশের কম টেস্ট খেলার আক্ষেপে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা হবে বলেই বিশ্বাস। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকান কন্ডিশনে বেশি বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে টাইগারদের স্কিলেরও অনেক উন্নতি হবে। বাংলাদেশের কোন ব্যাটার ১০০ টেস্ট খেলবে, এই স্বপ্ন পূরণে এফটিপিতে আরও বেশি টেস্ট যোগ হওয়া বাঞ্ছনীয়।